ধনতেরস এলেই প্রায় সকল হিন্দুর মনে চলতে থাকে কী কেনা যায়। সাধারণত ধনতেরসে সোনা বা রুপো কেনার চলই রয়েছে। তবে বর্তমান কালে এই দুই ধাতুর বিশাল দামের জন্য সকলের পক্ষে এগুলি কেনা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে আজকাল ধনতেরসের দিন নানা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনারও হিড়িক দেখা যায়। সেগুলির মধ্যে সবার উপরে রয়েছে ঝাঁটা। ধনতেরসের দিন এখন সোনার দোকানের বাইরে যত না ভিড় দেখা যায়, তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি লোকের ঢল দেখা যায় ঝাঁটার দোকানের বাইরে। আর নতুনের আগমনের আনন্দে পুরনো ঝাঁটাকে অনেকে বাড়ি থেকে বারও করে দেন। কিন্তু দীপাবলির আগে বাড়ির পুরনো ঝাঁটা বার করা শুভ নয়। এর নেপথ্যে রয়েছে নানা কারণ। এমনকি ধনতেরসে ঝাঁটা কেনার বিষয়েও কিছু ব্যাপার মাথায় রাখা উচিত। সেগুলি জেনে নিন।
আরও পড়ুন:
ধনতেরসে ঝাঁটা কেনার ব্যাপারে কী কী মাথায় রাখবেন?
- ধনতেরসে ঝাঁটা কেনা শুভ। কারণ, ঝাঁটা আমাদের ঘর পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। আর মা লক্ষ্মীও পরিষ্কার ঘরবাড়ি পছন্দ করেন। তাই ধনতেরসের দিন বাড়িতে ঝাঁটা আনলে মা লক্ষ্মীর কৃপা লাভ হয় বলে বিশ্বাস করা হয়।
- ধনতেরসের দিন, অর্থাৎ ১৮ তারিখ দুপুরবেলা থেকে সূর্যাস্তের আগের সময় পর্যন্ত ঝাঁটা কেনা যেতে পারে। এই সময়কাল ঝাঁটা কেনার জন্য উপযুক্ত।
- এই দিন সন্ধ্যাবেলা ভুলেও ঝাঁটা কিনবেন না। সূর্যাস্তের পর ঝাঁটা কেনা উচিত নয় বলে জানাচ্ছে শাস্ত্র।
- ঝাঁটা কেনার সময় খেয়াল রাখবেন যেন সেটি কোনও দিক থেকে ভাঙা না হয়। ভাঙা ঝাঁটা বাড়িতে আনা বা রাখা শুভ নয়।
আরও পড়ুন:
দীপাবলির আগে বাড়ি থেকে পুরনো ঝাঁটা সরানো অশুভ কেন?
ভাঙা ঝাঁটা ব্যবহার করা যেমন শুভ নয়, তেমনই সেটিকে যেখানে-সেখানে যখন-তখন ফেলে দিলেও নেগেটিভ শক্তির প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। দীপাবলির আগে বাড়ি থেকে তাই পুরনো ঝাঁটা বার করা উচিত হবে না বলে জানাচ্ছে শাস্ত্র। বাতিল ঝাঁটা অনেকে পুড়িয়ে ফেলেন, তবে সেই কাজটিও করা উচিত নয়। ঝাঁটা ফেলার সময সর্বদা কাগজে মুড়িয়ে সেটিকে ফেলা উচিত। যে কোনও শনিবার ঝাঁটা ফেলার জন্য আদর্শ। যদিও কোনও বিশেষ তিথি পড়লে এই দিনও ঝাঁটা ফেলা উচিত হবে না। এ ছাড়া অমাবস্যার পরের দিনও বাতিল ঝাঁটা ফেলা যেতে পারে। তাই ধনতেরসের দিন নতুন ঝাঁটা এনে পুরনো ঝাঁটা বাড়ি থেকে বার করার হলে কালীপুজোর পরের দিন, অমাবস্যা ছেড়ে যাওয়ার পরবর্তী সময়কে বেছে নিতে পারেন।