আমরা অনেকেই প্রতি দিন নিজেদের ইষ্টদেবতার আরাধনা করে থাকি। নিত্যপুজো প্রায় সকলের বাড়িতেই হয়। এই পুজো করার সময় আমরা অজান্তেই অনেক ভুল করে ফেলি। এর ফলে ভগবান রুষ্ট হতে পারেন। ভগবানকে তুষ্ট করতে গিয়ে আমরা নিজেদের অজান্তেই তাঁকে রুষ্ট করে ফেলি। এই বিষয়ে একটু খেয়াল রাখা প্রয়োজন। জেনে নিন নিত্যপুজোর সময় কোন ভুলগুলি করা উচিত নয়।
আরও পড়ুন:
দেখে নেব কোন কোন ভুল পুজো করার সময় করতে নেই:
১) পুজোর সময় আমরা যে ফুল ঠাকুরকে অর্পণ করি, তা প্রতি দিন পরিষ্কার করে ফেলতে হয়। কোনও রকম পচা বা বাসি ফুল যেন ঠাকুরের আসনে না থাকে।
২) ঠাকুরঘর এমন স্থানে নির্মাণ করতে হবে যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছয়। ঘরের কোণে, অন্ধকার জায়গায় থাকতে ঠাকুর পছন্দ করেন না। রোদ ঝলমলে জায়গায় ঠাকুর রাখার স্থান নির্মাণ করার ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন:
৩) পুজোর সময় যে প্রদীপ আমরা জ্বালাই, তা যেন কোনও ভাবে পুজো শেষ হওয়ার আগে নিবে না-যায়। এটি অত্যন্ত অমঙ্গলজনক বলে মনে করা হয়।
৪) ঠাকুরঘরে ঠাকুরের খুব বড় মূর্তি স্থাপন না করাই ভাল। বাড়ির জন্য নয় ইঞ্চি মাপের ঠাকুর কেনা শুভ বলে মনে করা হয়। এর থেকে বড় মূর্তি না কেনাই ভাল।
৫) পুরনো ক্যালেন্ডার বা মৃত মানুষের ছবি ঠাকুরঘরে রাখতে নেই।
আরও পড়ুন:
৬) আমরা অনেক সময় ঠাকুরের প্রসাদ বেশি করে এনে রাখি। কিন্তু প্রসাদ যেটুকু প্রয়োজন সেটুকুই আনা উচিত। দিনের প্রসাদ দিনেই এনে দেওয়া উচিত। একান্তই বেশি আনা হয়ে গেলে বাড়তি জিনিসটা ঠাকুরঘরে না রেখে অন্যত্র কোথাও রেখে দেওয়াই শ্রেয়। অনেক দিন আগে নিয়ে আসা প্রসাদ ঠাকুরঘরে রেখে দিতে নেই।
৭) ঠাকুর কোনও সময় যেন সিংহাসন ছাড়া না-রাখা হয়। কাঠের বা যে কোনও ধাতুর সিংহাসনেই ঠাকুর রাখতে পারেন। মেঝের উপর কাপড় পেতে ঠাকুর রাখা যাবে না।
আরও পড়ুন:
৮) পুজোর সময় আমরা যে আসন ব্যবহার করে থাকি, তা যেন প্রত্যেকের আলাদা আলাদা হয়। একই আসন সকলে মিলে ব্যবহার করতে নেই।
৯) পুজোর সময় খুব বেশি উগ্র গন্ধযুক্ত ধূপ ব্যবহার করতে নেই।