হিন্দু ধর্মে একাদশীর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। প্রতি মাসে দু’বার করে একাদশী পালন করা হয়। অনেক বাড়িতেই এই ব্রত পালন করা হয়। সাধারণত স্বামীবিয়োগের পর মহিলারা, উপনয়ন হওয়ার পর কিশোরেরা এবং মাতৃ বা পিতৃ বিয়োগের পর সন্তানেরা এই ব্রত পালন করে থাকেন। এ ছাড়া প্রভু বিষ্ণুর ভক্তেরাও তাঁদের ইষ্টদেবতাকে তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে একাদশী তিথি পালন করে থাকেন। এই ব্রত পালনের নানা নিয়ম রয়েছে। আমরা আমাদের অজান্তে নানা পাপ করে থাকি। একাদশীর ব্রত পালনে সেই সকল পাপ থেকে নিস্তার পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়। জুনের ২১ তারিখ পড়েছে যোগিনী একাদশী। এই দিন রাশি অনুযায়ী ভগবান বিষ্ণুকে বিশেষ কয়েকটি জিনিস অর্পণ করতে পারলে খুব ভাল ফল পাওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
রাশি অনুযায়ী কে কী দেবেন?
মেষ: যোগিনী একাদশীর দিন মেষ রাশির ব্যক্তিরা ভগবান বিষ্ণুকে লাল রঙের যে কোনও ফুল নিবেদন করতে পারেন। জীবনে উন্নতির পথে আসা নানা বাধার থেকে মুক্তি পাবেন।
বৃষ: জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি লাভ করতে বৃষ রাশির লোকেরা বিষ্ণুকে সাদা রঙের ফুল নিবেদন করুন।
মিথুন: মিথুন রাশির জাতক-জাতিকারা ভগবান বিষ্ণুকে সবুজ রঙের জিনিস নিবেদন করুন। জীবনে সাফল্য পাবেন নিশ্চিত।
আরও পড়ুন:
কর্কট: যোগিনী একাদশীর দিন কর্কট রাশির ব্যক্তিরা শ্রীবিষ্ণুকে নিজের হাতে ক্ষীর বানিয়ে নিবেদন করুন। নিজে বানাতে না পারলে, দোকান থেকে কিনে এনে দিলেও চলবে।
সিংহ: শ্রীবিষ্ণুকে হলুদ রঙের মিষ্টি ও ফুল নিবেদন করতে পারেন সিংহ রাশির ব্যক্তিরা। শুভ ফল লাভ করবেন।
কন্যা: কন্যা রাশির লোকজন শ্রীবিষ্ণুকে সাদা রঙের মিষ্টি ও জাফরান নিবেদন করুন। আশীর্বাদ লাভ করবেন।
আরও পড়ুন:
তুলা: বিবাহিত জীবন সুখের করে তুলতে তুলা রাশির জাতক-জাতিকারা শ্রীবিষ্ণুকে সাদা রঙের ফুল ও মিষ্টি নিবেদন করুন।
বৃশ্চিক: বৃশ্চিক রাশির ব্যক্তিরা কর্মক্ষেত্রে সাফল্য পেতে শ্রীবিষ্ণুকে গুড় অর্পণ করুন।
ধনু: হলুদ রঙের ফল ও মিষ্টি নিবেদন করলে ধনু রাশির ব্যক্তিরা খুব ভাল ফল পেতে পারেন।
আরও পড়ুন:
মকর: যোগিনী একাদশীর দিন ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশে মকর রাশির জাতক-জাতিকারা দই ও এলাচ নিবেদন করুন।
কুম্ভ: সারা বছর জুড়ে বিষ্ণুর আশীর্বাদ পেতে এই দিন কুম্ভ রাশির ব্যক্তিরা অশ্বত্থ গাছের তলায় তিলের তেলের প্রদীপ জ্বালান।
মীন: মীন রাশির লোকজন গরিবদের সাধ্যমতো দান করুন এবং শ্রীবিষ্ণুর উদ্দেশে পাঁচ রকমের মিষ্টি নিবেদন করুন।