স্নানযাত্রায় স্নানের পর শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রভু শ্রীজগন্নাথ দাদা বলরাম ও বোন সুভদ্রাকে নিয়ে অনসরকাল কাটান। স্নানযাত্রায় স্নান করার পর প্রভু শ্রীজগন্নাথদেব অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই কারণে ভক্তগণের থেকে নিভৃতে অনসরকালে চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসাধীন থেকে এক পক্ষকাল যাবৎ চিকিৎসা এবং সেবায় সুস্থ হয়ে ওঠেন। সুস্থ হয়ে প্রথমেই মাসির বাড়ি বেড়াতে যান। বেড়াতে যাওয়ার উৎসবই হল শুভ রথযাত্রা।
আরও পড়ুন:
রথযাত্রার দিন প্রভু জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শোভাযাত্রা সহকারে নিজের বাড়ি থেকে সপ্তাহকালের জন্য মাসির বাড়ি বেড়াতে যান। আগামী ২৭ জুন, ১২ আষাঢ়, শুক্রবার হল রথযাত্রা উৎসব।
রথযাত্রা হিন্দুধর্মের, বিশেষত প্রভু শ্রীজগন্নাথের ভক্তদের কাছে একটি পুণ্য উৎসব এবং পুণ্য তিথিও। এই পুণ্য তিথিতে জগন্নাথধাম পুরী ছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গ-সহ সমগ্র ভারতে জাঁকজমকের সঙ্গে রথযাত্রা পালিত হয়। এমনকি ভারতের বাইরে পৃথিবীর অন্যান্য স্থানে মহাসমারোহের সঙ্গে পুণ্য রথযাত্রা পালিত হয়। শাস্ত্রমতে, রথের দড়ি টানলে পুণ্য লাভ করা যায়।
আরও পড়ুন:
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে–
১২ আষাঢ়, ২৭ জুন, শুক্রবার।
বেলা ১১ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত দ্বিতীয়া তিথি, পরে তৃতীয়া।
অমৃতযোগ— সকাল ১২টা ৫ মিনিট গতে ২টো ৪৫ মিনিটের মধ্যে।
মাহেন্দ্রযোগ— সকাল ৫টা ৫১ মিনিট গতে ৬টা ৪৪ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় সকাল ৯টা ২৫ মিনিট গতে ১০টা ১৮ মিনিটের মধ্যে।
আরও পড়ুন:
শাস্ত্রমতে রথযাত্রার পুণ্য তিথি যে কোনও শুভ কাজ শুরুর জন্য অত্যন্ত শুভ।
উল্টোরথ— ২০ আষাঢ়, ৫ জুলাই, শনিবার।
উল্টোরথের কোনও নির্দিষ্ট সময় হয় না। সেই দিন যে কোনও সময় রথ বার করা যেতে পারে। মন্দির ও অঞ্চলবিশেষে ভিন্ন ভিন্ন দিনে উল্টোরথ পালনের প্রথা রয়েছে।