সব বাড়ির ক্ষেত্রেই সদর দরজার আশপাশে কী রাখা হচ্ছে সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সদর দরজা দিয়ে শুভ লক্ষণ, ধনসম্পদ এবং পজ়িটিভ শক্তি ঘরে প্রবেশ করে বলে মানা হয়। এই কারণেই বাস্তুশাস্ত্র সদর দরজাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। এই সদর দরজার সামনে কখনও ভুলেও এমন কোনও জিনিস রাখতে নেই যা থেকে ঘরে অশুভ শক্তি প্রবেশ করে। অনেকেই আছেন যাঁরা একেবারে সদর দরজার সামনে জুতোর তাক রাখেন। এটা আমরা নিজেদের সুবিধার জন্যই করে থাকি, কিন্তু জানেন কি, এই তুচ্ছ সুবিধার জন্য জীবনে ঘটে যায় বিপত্তি। কারণ, ঘরের সদর দরজার সামনে কোনও ভাবেই জুতো রাখার তাক রাখতে নেই।
আরও পড়ুন:
-
জন্মসংখ্যার সঙ্গে ‘লাকি নম্বর’-এর সম্পর্ক রয়েছে? জন্মসংখ্যা মিলিয়ে লটারি কাটলে প্রাপ্তির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় কি?
-
বাস্তবের ‘পুষ্পারাজ’! কোনও পরিস্থিতিতেই মাথা ঝোঁকান না তিন রাশি, গভীর সমস্যাতেও কারও সাহায্য চান না
-
সোনার উজ্জ্বলতায় পুড়ে যায় কিছু মানুষের ভাগ্য! সোনালি ধাতু সহ্য হয় না এঁদের, জীবনে নেমে আসে অমানিশা
সদর দরজার সামনে জুতোর তাক রাখলে কী হয়?
১) ঘরের সদর দরজার সামনে জুতোর তাক রাখতে নেই কারণ জুতো খুবই অপরিষ্কার জিনিস। এটা ঘরের সামনে রাখলে মা লক্ষ্মী ঘরের ভিতর সানন্দে প্রবেশ করতে পারেন না, বাধা সৃষ্টি হয়। এর ফলে ধীরে ধীরে আসবে দরিদ্রতা। পরিবারে আর্থিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
২) এ ছাড়া ঘরের সামনে জুতো রাখলে বা জুতো উল্টে রাখলে নিজেদের মধ্যে সম্পর্কে বিভেদ সৃষ্টি হয়। পরিবারের সুখ-শান্তি বিঘ্নিত হতে থাকে।
৩) ঘরে প্রতিনিয়ত অশুভ শক্তি প্রবেশ করার ফলে সেই বাড়িতে থাকা মানুষজনের স্বাস্থ্যহানি হতে পারে।
আরও পড়ুন:
জুতোর তাক রাখার সঠিক দিক এবং কিছু নিয়ম:
১) জুতোর তাক রাখার সঠিক দিক হল দক্ষিণ বা পশ্চিম দিক। উত্তর দিক অথবা উত্তর-পূর্ব দিকে জুতোর তাক একেবারেই রাখতে নেই।
২) জুতোর তাকের আশপাশ সব সময় পরিষ্কার করে রাখতে হবে, সেখানে নোংরা জমতে দেওয়া যাবে না।
৩) খোলা জুতো রাখার তাক ব্যবহার না করে, বন্ধ করা যায় সে রকম জুতো রাখার তাক ব্যবহার করতে হবে।
৪) অনেকেই আছেন যাঁরা জুতোর ছেঁড়া বাক্স বা ছেঁড়া জুতো দীর্ঘ দিন ধরে জমিয়ে রাখেন। এই কাজটি করাও একেবারেই উচিত নয়। অপ্রয়োজনীয় জিনিস যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাইরে ফেলে দেওয়া উচিত।