কারও দাঁত সমান তো কারও উঁচু-নিচু। ভিন্ন ভিন্ন মানুষের দৈহিক গঠন বিভিন্ন প্রকৃতির হয়। তবে আমরা অনেকেই জানি না যে, সেই সকল দৈহিক গঠন বিচার করে কোন মানুষ কেমন প্রকৃতির তা অনেকটা বলে দেওয়া সম্ভব। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, একজন মানুষের দাঁতের গঠন সেই মানুষের ব্যাপারে অনেক কিছু বলে দিতে পারে।
আরও পড়ুন:
দাঁতের ধরন অনুযায়ী মানুষ কেমন প্রকৃতির হন?
সমান দাঁত: বহু মানুষের দাঁতের সারি সুন্দর ভাবে সাজানো হয়। সেই নিখুত দাঁতের সারি তাঁদের হাসিকে অন্য মাত্রা দেয়। কিন্তু তারই সঙ্গে সাজানো দাঁতের সারির মানুষেরা ভাগ্যবানও হন। এঁদের জীবনে সুখের কোনও কমতি হয় না। সৌভাগ্য বেশির ভাগ সময়ে এঁদের সঙ্গেই থাকে। ফলত যে কোনও কাজে এঁরা খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারেন। এই সকল ব্যক্তিরা মিথ্যা কথা বলতে একদমই পছন্দ করেন না, সর্বদা সত্যি কথা বলেন। কঠোর পরিশ্রম করতে এঁরা কখনও পিছপা হন না।
এবড়ো-খেবড়ো দাঁত: এই সকল মানুষ জীবনে চলার পথে নানা সংগ্রামের মুখোমুখি হন। অর্থসমস্যা এঁদের পিছু ছাড়তে চায় না। অর্থ উপার্জনের জন্য এঁদের অনেক কষ্ট করতে হয়। মানসিক দিক থেকেও এঁরা চাপে থাকেন। তবে কঠোর পরিশ্রম করতে ভালবাসেন এই ধরনের মানুষ। ফলত কায়িক শ্রমের দ্বারা এঁরা নিজেদের ভাগ্য বদলে ফেলার ক্ষমতা রাখেন। হার মেনে নেওয়া এঁদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে নেই।
আরও পড়ুন:
মসৃণ দাঁত: মসৃণ দাঁতের সারির মানুষদের জীবনে কখনও অর্থ সঙ্কটের মুখে পড়তে হয় না। কর্মক্ষেত্রেও সাফল্য পেতে এঁদের বিশেষ কাঠখড় পোড়াতে হয় না। যে কোনও কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে এঁরা পটু হন। এঁদের দাম্পত্য জীবনও সুখের হয়। প্রখর বুদ্ধিমত্তার জন্য যে কোনও কাজ এঁরা খুব সহজেই করে ফেলতে পারেন।
বাঁকানো দাঁত: বাঁকানো দাঁতের মানুষদেরও জীবনে চলার পথে নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়। আর্থিক দিক থেকেও এঁরা দুর্বল প্রকৃতির হন। মেজাজের দিক থেকে এঁরা একটু রগচটা প্রকৃতির হন, এর ফলে ব্যক্তিগত সম্পর্কেও নানা ঝামেলার সৃষ্টি হয়। জীবনে সুখ অর্জনের জন্য এঁদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়।
আরও পড়ুন:
লম্বা দাঁত: লম্বা দাঁতের মানুষেরা ধনী হন। অর্থ উপার্জনের জন্য এঁদের কখনও বিশেষ কষ্ট করতে হয় না। এঁদের বিবাহিত জীবনও অত্যন্ত সুখের হয়। অন্যান্য মানুষের চেয়ে এঁদের আয়ু দীর্ঘ হয় বলে মনে করা হয়। এই ধরনের মানুষ খুব হাসিখুশি প্রকৃতির হন এবং সকলের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে খুব পছন্দ করেন।
ছোট দাঁত: ছোট দাঁতের মানুষদের ভাগ্যে দুঃখের অন্ত থাকে না। বিশেষ অর্থসমস্যার মুখোমুখি না হতে হলেও, ব্যক্তিগত জীবনে এঁদের নানা অশান্তির মুখোমুখি হতে হয়। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতেও এঁদের নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়।