হাতে ঘড়ি পরা আমাদের সাজসজ্জারই একটি অঙ্গ। বর্তমান কালে প্রাচীন ডায়াল ঘড়ি ছাড়াও আরও নানা ধরনের ঘড়ি বেরিয়েছে। ডায়াল ঘড়িরও নানা রকমফের এখন দেখা যায়। ফলত আট থেকে আশি, সকল বয়সের মানুষই সানন্দে হাতে ঘড়ি পরেন। অনেকেই মনে করেন যে হাতে ঘড়ি না পরলে সাজ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। শাস্ত্রমতে, হাতের জন্য ঘড়ি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে। নচেৎ সময় দুঃসময়ে বদলে যেতে পারে। জেনে নিন সেগুলি কী কী।
আরও পড়ুন:
হাতঘড়ি বাছার সময় কী কী দেখে নেবেন?
ঘড়ির ডায়াল: খুব ছোট বা খুব বড় ডায়ালের ঘড়ি পরা উচিত নয়। মাঝারি আকারের গ্রহ আমাদের হাতের জন্য উপযুক্ত। আমাদের প্রতিটি অঙ্গের সঙ্গেই কোনও না কোনও গ্রহের সম্পর্ক রয়েছে। তেমনই আমাদের কব্জির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে রাহুর। বড় ডায়ালের ঘড়ি পরলে আমাদের হাতের কব্জির পুরোটাই ঢাকা পড়ে যায়, এর ফলে রাহুর উপর চাপ সৃষ্টি হয়। ছোট ডায়ালের ঘড়ি পরলেও রাহুর অশুভ প্রভাব বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দেয়। তাই মাঝারি ডায়ালের ঘড়িই আমাদের হাতের জন্য উপযুক্ত।
কোন হাতে ঘড়ি পরবেন: ঘড়ি নিজের স্বাচ্ছন্দ্য অনুযায়ী যে কোনও হাতেই পরা যেতে পারে। তবে শাস্ত্রমতে, ডান হাতে ঘড়ি পরলে বেশি ভাল ফল পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:
ঘড়ির রং: আপনি কোন রঙের ঘড়ি পরছেন তার উপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। ঘড়ির রং সর্বদা রাশি অনুযায়ী বেছে নেওয়া উচিত। এতে সাফল্য আপনার সঙ্গেই থাকবে। রাশি অনুযায়ী আপনার সঙ্গে যেই গ্রহের সম্পর্ক রয়েছে, সেই গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত রঙের ঘড়ি পরলে দুর্বল গ্রহ শক্তিশালী হয়।
ঢিলে না শক্ত, কী ভাবে ঘড়ি পরা উচিত: ঢিলেঢালা ঘড়ি পরা শুভ নয়। হাতে ফিট হয় এমন ঘড়ি পরা উচিত। ঢিলেঢালা ঘড়ি পরলে আমাদের মনঃসংযোগ ব্যাহত হয়।
আরও পড়ুন:
ঘড়ি কোথায় রাখা উচিত: হাত থেকে খোলার পর ঘড়ি যেখানে-সেখানে রেখে দেওয়া মোটেই ভাল নয়। বিছানায় বা বালিশের পাশে ঘড়ি রাখলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে, নেগেটিভ শক্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ঘড়ি একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা উচিত।