জুনের প্রথম সপ্তাহেই মঙ্গল রাশি পরিবর্তন করে সিংহ রাশিতে প্রবেশ করেছে। ফলত মঙ্গল-রাহু-কেতু এই মুহূর্তে একই অক্ষে অবস্থান করছে। এর ফল কখনওই ভাল হয় না। এই যোগ আমাদের সকলের জন্যই অত্যন্ত অশুভ। পৃথিবীর উপর এর যেমন নানা খারাপ প্রভাব পড়ছে, তেমনই আমাদের ব্যক্তিগত জীবনও এই যোগের কুপ্রভাবে তছনছ হয়ে যেতে পারে। শাস্ত্রমতে, উষ্ণ গ্রহ মঙ্গলের সঙ্গে দুই ছায়াগ্রহের অবস্থানের কুপ্রভাব পড়তে চলেছে সমস্ত সম্পর্কের উপর। এর ফলে বিচ্ছেদের পরিমাণ হু হু করে বাড়তে পারে। দাম্পত্য জীবনেও নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সকলকেই সতর্ক থাকতে হবে। তারই সঙ্গে মাথায় রাখতে বিশেষ কিছু জিনিস, মানতে হবে বিশেষ কয়েকটি টোটকা। নচেৎ সম্পর্কে ছেদ ঘটার আশঙ্কা প্রবল।
আরও পড়ুন:
সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে কী কী করতে হবে?
১. রাগ বশে রাখতে হবে। যে কোনও ব্যাপারে চট করে রেগে গেলে চলবে না। গ্রহের অশুভ প্রভাবের ফলে নানা ঝামেলার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে পারে, তবে সেই সকল পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখেই চলতে হবে। রেগে গেলে চলবে না।
২. শিব-পার্বতী বা লক্ষ্মী-নারায়ণ বা রাধা-কৃষ্ণের উপাসনা করতে পারেন। নিষ্ঠাভরে তাঁদের উপাসনা করতে পারলে সম্পর্কের মঙ্গল হবেই, কোনও অশুভ নজর পড়বে না।
আরও পড়ুন:
৩. বিশেষ দিনে স্বামী-স্ত্রী বা সম্পর্কে থাকা জাতক-জাতিকারা একসঙ্গে উপোস রাখতে পারলে খুব ভাল ফল পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু দু’জনকে একই সঙ্গে উপোস রাখতে হবে এবং উপোসভঙ্গও একই সঙ্গে করতে হবে। নচেৎ ফল লাভ হবে না।
৪. একে অপরের রাশিগত প্রকৃতিকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। রাশি অনুযায়ী এক এক জনের আচার-ব্যবহার ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির হয়। ফলত গ্রহের অশুভ প্রভাবও রাশি অনুযায়ী আলাদা রকমের হবে। তাই আপনি যাঁর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন তিনি যদি হঠাৎ অন্য রকম ব্যবহার করেন তা হলে চট করে চটে না গিয়ে তাঁর সেই ব্যবহারের মূলে কী রয়েছে সেটা জানার বা বোঝার চেষ্টা করুন।
আরও পড়ুন:
৫. রাশি অনুযায়ী শুভ রঙের জামাকাপড় পরুন। এতে সম্পর্কের ভিত মজবুত হয়।
৬. প্রতি দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান করার পর শিব ও বিষ্ণুর মন্ত্র পাঠ করুন। ভাল ফল লাভ করবেন।