শনিদেবের নাম শুনলে বেশির ভাগ মানুষই আঁতকে ওঠেন। ভাবেন, এই যদি তিনি রুষ্ট হন, তা হলেই সব শেষ হয়ে যাবে। তবে শনিদেব মানে যে কেবলই খারাপ এ ধারণা কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল। শনিদেব হলেন কর্মফলদাতা গ্রহ। কোনও ব্যক্তি যদি খারাপ কর্ম করে থাকেন, তা হলে তাঁকে সেটির ফল ভোগ করতেই হবে। শনিদেবকে খামোকা ভয় পাওয়ার কোনও মানে হয় না। শনিদেব যদি চান, তা হলে এক জন গরিব মানুষকে রাতারাতি ধনী বানিয়ে দিতে পারেন। তেমনই তিনি রেগে গেলে আবার সব কিছু কেড়েও নিতে পারেন। তাই তাঁকে শান্ত রাখা জরুরি।
আরও পড়ুন:
দৈনন্দিন জীবনে আমরা এমন নানা কাজই করে থাকি যা হয়তো শনিদেব পছন্দ করেন না। কিন্তু আমরা সেটা না জেনেই করে ফেলি। ফলত শনিদেবের কোপের মুখে পড়তে হয়। তাই তাঁকে শান্ত রাখার পন্থা মেনে চলা জরুরি। শনিদেবের অত্যন্ত প্রিয় একটি জিনিস হল সর্ষের তেল। সেটি দিয়ে কিছু টোটকা পালন করলেই ভাগ্যের হাল ফিরবে।
টোটকা:
- শনির কুদৃষ্টি কাটাতে রুটির উপর অল্প সর্ষের তেল মাখিয়ে কোনও কালো কুকুরকে খাওয়ান। শনির নজর থেকে রেহাই পাবেন।
- প্রতি শনিবার সূর্যোদয়ের আগে অশ্বত্থ গাছের গোড়ায় দুধ ঢালুন। তার পর সেই স্থানে একটি ধূপকাঠি ও সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালান। শনিদেব তুষ্ট হবেন।
আরও পড়ুন:
- শনিদেবের রাগ কমাতে প্রতি শনিবার যে কোনও শনিমন্দিরে প্রভুর উদ্দেশে সর্ষের তেল নিবেদন করুন এবং একটি করে সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালান। প্রভুর আপনার উপর থাকা সমস্ত রাগ ধীরে ধীরে কমতে থাকবে।
- জন্মছকে শনির অবস্থার উন্নতি ঘটাতে যে কোনও সপ্তাহের শনিবার একটা কালো লোহার বাটিতে ভর্তি করে সর্ষের তেল নিন। তার পর সেটিতে একটা তামার কয়েন ফেলুন। এ বার তেলপূর্ণ বাটিটি ঘরের কোনও অন্ধকার স্থানে রেখে দিন। শনির অবস্থা কিছুটা হলেও ভাল হবে। পরের শনিবার সেটি ওই স্থান থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে।
- প্রতি দিন সন্ধ্যাবেলা ঠাকুরের স্থানে বা তুলসীগাছের গোড়ায় সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালান এবং ‘ওম শন শনিশ্চরায় নমঃ’ মন্ত্রটি পাঠ করুন। এর ফলে ধীরে ধীরে শনির অশুভ প্রভাব কমতে থাকবে।