কথায় রয়েছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। বাঙালির তেরো পার্বণের তালিকায় থাকা অন্যতম আদি উৎসব হল রান্নাপুজো বা অরন্ধন উৎসব। পশ্চিমবঙ্গে দু’বার রান্নাপুজো হওয়ার রীতি রয়েছে। এক বার হয় মাঘ মাসে সরস্বতী পুজোর সময়। আর এক বার হয় ভাদ্র মাসের শেষ দিন, বিশ্বকর্মা পুজোর সময়। মনসাপুজোরই একটি অংশ হল রান্নাপুজো। মরসুমের সেরা শাকসব্জি দিয়ে এই পুজোর রান্না করা হয়। এর নানা নিয়ম রয়েছে। সেগুলি সঠিক উপায়ে পালন না করলে মা মনসা রুষ্ট হন।
আরও পড়ুন:
রান্নাপুজোর নিয়মগুলি কী কী?
- কথিত রয়েছে, সাপ গরম খাবার খেতে পারে না। তাই দেবী মনসাও গরম খাবার গ্রহণ করেন না বলে বিশ্বাস করা হয়। ঠান্ডা, আগের রাতে করে রাখা বাসি খাবারই এই পুজোর ভোগ হিসাবে নিবেদন করতে হবে।
- সাধারণত এই পুজোয় মাটি দিয়ে নতুন উনুন বানিয়ে সেটিতে রান্না করার প্রচলন রয়েছে। কিন্তু সকলের পক্ষে এই নিয়ম মানা সম্ভব না-ও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে গ্যাসঅভেন ভাল করে পরিষ্কার করে নিয়ে তাতে রান্না করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
- রান্নাপুজোর ভোগ রান্নার সময় পরিষ্কার বসন পরা আবশ্যিক।
- নতুন বাসনে এই ভোগ রান্না করতে হয়। আলাদা ঠাকুরের বাসনে রান্না করলেও চলবে। রোজকার ব্যবহৃত বাসনে রান্না করা যাবে না।
- অরন্ধন উৎসবের দু’দিন বাড়িতে আগুন জ্বালানো নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুন:
অরন্ধন উৎসবে কী কী রান্না করতে হয়?
রান্নাপুজোয় মূলত বাসি খাবার খাওয়া হয়। এর মধ্যে পান্তাভাত উল্লেখযোগ্য। নিরামিষ ও আমিষ, দু’রকম রান্নাই হয়। নিরামিষের মধ্যে মরসুমি সব্জির নানা রকম ব্যঞ্জন, নানা রকম ভাজাভুজি রান্না করা হয়। আমিষের মধ্যে সাধারণত মাছই দেওয়া হয়। চিংড়ি ও ইলিশ মাছ এগুলির মধ্যে অন্যতম।