প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনে রং এবং তরঙ্গের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। মানুষের শরীরে উপস্থিত যে সাতটা চক্র রয়েছে, তা রং এবং তরঙ্গকে গ্রহণ করে। আর এই কারণেই গ্রহরত্ন প্রভাব বিস্তার করতে পারে মানুষের জীবনে। মানুষের অশুভ গ্রহের প্রভাবকে কমানোর জন্য জ্যোতিষীরা গ্রহরত্ন ধারণের পরামর্শ দেন। তবে একটি বিষয়ে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে, গ্রহরত্ন ধারণের আগে সঠিক নিয়ম এবং সঠিক রত্ন বাছাই করে তবেই পরতে হয়। কারণ, রত্ন ধারণ করার পর ভাল ফল পেতে সময় লাগলেও, ভুল রত্ন পরার পর ক্ষতি হতে বিশেষ সময় লাগে না। অনেকেই আছেন যাঁরা একসঙ্গে অনেকগুলো রত্ন ধারণ করে থাকেন। কিন্তু রত্নশাস্ত্র অনুযায়ী কিছু কিছু রত্ন রয়েছে যা একসঙ্গে ধারণ করতে নেই। এতে মানসিক, শারীরিক, আর্থিক এবং পারিবারিক দিকে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন:
দেখে নেব কোন কোন গ্রহরত্ন একসঙ্গে ধারণ করতে নেই এবং করলে কী হয়:
১) মুক্তোর সঙ্গে পান্না, হিরে, ক্যাট’স আই এবং গোমেদ একসঙ্গে ধারণ করতে নেই। এর ফলে মানসিক অবসাদ, হতাশা এবং সম্পর্কে অবনতি আসতে পারে।
২) মুক্তো, প্রবাল এবং রুবি একসঙ্গে ধারণ করতে নেই। এর ফলে শনি ও কেতুর অশুভ প্রভাব বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে নানা সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন:
৩) ক্যাট’স আই ধারণ করলে রুবি এবং মুক্তো একসঙ্গে ধারণ করা যাবে না।
৪) পান্না ও কর্কট বৃশ্চিক রাশির ক্ষেত্রে অশুভ হতে পারে।
৫) মেষ, বৃষ এবং মীন রাশির জন্য গোমেদ রত্ন শুভ নয়।
আরও পড়ুন:
৬) প্রবাল ধারণ করলে একসঙ্গে হিরে, পান্না, গোমেদ এবং নীলা ধারণ করা যাবে না।
৭) পান্না, পোখরাজ, মুক্তো এবং প্রবাল একসঙ্গে ধারণ করতে নেই। এগুলি একসঙ্গে পরলে জীবনে নানা ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।