বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর কর্নাটকে বিজেপি শিবিরে বড়সড় রদবদল ঘটতে পারে। বিজেপি সভাপতির পদ হারাতে পারেন নলীনকুমার কাতিল। শুধু রাজ্য সভাপতি বদলই নয়, সূত্রের খবর, কর্নাটক বিজেপিকেও ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করছেন দিল্লি নেতৃত্ব। বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে ঘুরে দাঁড়াতে এমন সিদ্ধান্তই নিয়েছে পদ্মশিবির।
নিউজ ১৮ সূত্রে খবর, বিজেপি রাজ্য সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে কাতিলকে ইতিমধ্যেই প্রস্তাব দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁর বদলে নতুন রাজ্য সভাপতি করা হতে পারে শোভা করন্দলাজেকে। শনিবার কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের কাছে ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। ৬৬টি আসন দখল করেছে পদ্মশিবির। ১৩৫টি আসন দখল করে বিরাট ব্যবধানে জিতেছে কংগ্রেস। দক্ষিণ ভারতে একমাত্র কর্নাটকেই বিজেপির সরকার ছিল। শনিবারের ফলের পর সেই কর্নাটক হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। যা লোকসভা নির্বাচনের আগে পদ্মশিবিরকে অস্বস্তিতে ফেলেছে।
আরও পড়ুন:
দলের হারের পরই লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে রাজ্য নেতৃত্বকে ঢেলে সাজাতে চাইছে বিজেপি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক শীর্ষ নেতা বলেছেন, ‘‘শুধু কাতিলই নন, গোটা রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকেই ঢেলে সাজানো হবে। বিধানসভা নির্বাচনের হারের বিশ্লেষণ খতিয়ে দেখার পরই এই পদক্ষেপ করা হবে। দল এমন একটা শক্তপোক্ত সংগঠন চায়, যাতে লোকসভা নির্বাচনে ২৮টির মধ্যে ২৫টিতে আমরা জয় পাই।’’
কর্নাটকে দলের হয়ে হার স্বীকার করেছেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। তিনি বলেছিলেন, ‘‘পরাজয়ের সব দায় নিচ্ছি। অনেক কারণে এই ফল হতে পারে। আমরা সবটা খতিয়ে দেখব এবং লোকসভা নির্বাচনের জন্য তৈরি হব।’’ যদিও বোম্মাই জানিয়েছিলেন যে, লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত কাতিলই বিজেপি রাজ্য সভাপতি পদে থাকবেন।
আরও পড়ুন:
দলীয় নেতৃত্বকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা কাকে করা হবে, এই নিয়েও আলোচনা চলছে পদ্মশিবিরে। বিজেপি সূত্রে খবর, ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের নেত্রী শোভাকে রাজ্য সভাপতি করা হতে পারে। বিরোধী দলনেতা হিসাবে বেছে নেওয়া হতে পারে লিঙ্গায়েত নেতা বোম্মাইকে। এ ছাড়াও এস সুরেশ কুমার, অরবিন্দ বেল্লাড, ভি সুনীল কুমার, বিওয়াই বিজয়েন্দ্রের নামও আলোচনায় এসেছে।