ছবি পিটিআই।
অগ্নিপথ-বিধি শিথিল করার পরও ক্ষোভের আগুন যে নিভছে না, শনিবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিক্ষোভ পরিস্থিতিই তার সাক্ষী। চুক্তিভিত্তিক সেনা নিয়োগের প্রতিবাদে শনিবার বিহারে বন্ধে মিশ্র প্রভাব পড়েছে। অশান্তি এড়াতে নিরাপত্তার বজ্রআঁটুনিতে মুড়ে ফেলা হয়েছে চতুর্দিক।
গত তিন দিনে সে রাজ্যে অশান্তির ঘটনায় ৩২৫ জনেরও বেশি পড়ুয়াকে আটক করা হয়েছে। রেলের ৫০টি কামরা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডবে রেলের ক্ষতি হয়েছে ২০০ কোটি টাকার সম্পত্তি। গত দু’দিনে বিহারের দু'টি বিজেপি কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।জেহানাবাদ জেলায় একটি বাস ও ট্রাক পুড়িয়েছেন সেনায় চাকরিপ্রার্থী ও বন্ধ সমর্থনকারীরা। তেহট এলাকায় দু'টি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ওই এলাকায় ইট-পাটকেল ছোড়াও হয়েছে। আরওয়ালে একটি অ্যাম্বুল্যান্সে বিক্ষোভকারীরা হামলা চালান বলে অভিযোগ উঠেছে। চালককে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। মুঙ্গেরে তারাপুরের বিডিয়োর গাড়িতে হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা।
অতিরিক্ত ডিজি (আইনশৃঙ্খলা) সঞ্জয় সিংহ বলেছেন,‘‘বন্ধ ঘিরে এখনও অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটেনি। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। স্পর্শকাতর এলাকায় ৩০ কোম্পানি বিহার স্পেশাল অক্সিলিয়ারি পুলিশ (বিএসএপি) ও ১০ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। রেল স্টেশনগুলিতেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’’ অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিহারের ১২টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। কয়েকটি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
অন্য দিকে, অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আঁচ এসে পড়েছে জম্মুতেও। আবার, তেলঙ্গানা স্টেশনের বাইরে রাখা ডজন খানেক গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভের জেরে শনিবারও বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy