Advertisement
E-Paper

একা পাকিস্তান নয়, ‘অপারেশন সিঁদুরে’ তিন শত্রুর মোকাবিলা করেছে ভারত! বাকি দুই দেশ কারা? জানালেন সেনাকর্তা

ভারতীয় সেনার ডেপুটি চিফ অফ আর্মি স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাহুল আর সিংহ জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে সংঘাতের সময়ে দু’টি দেশ পাকিস্তানকে সহায়তা করছিল। প্রতিবন্ধকতা আরও বেড়ে গিয়েছিল তার জন্য।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৫ ১৪:৩৮
ভারতীয় সেনার ডেপুটি চিফ অফ আর্মি স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাহুল আর সিংহ।

ভারতীয় সেনার ডেপুটি চিফ অফ আর্মি স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাহুল আর সিংহ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

সীমানা একটাই। কিন্তু ‘শত্রু’ তিন দেশ। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময়ে তিন প্রতিপক্ষের মোকাবিলা করতে হয়েছে ভারতকে। জানালেন ভারতীয় সেনার ডেপুটি চিফ অফ আর্মি স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাহুল আর সিংহ। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে সংঘাতের সময়ে দু’টি দেশ পাকিস্তানকে সহায়তা করছিল। ভারতের প্রতিবন্ধকতা আরও বেড়ে গিয়েছিল তার জন্য। কী ভাবে পাকিস্তানের ভিতরে ন’টি জঙ্গিঘাঁটি চিহ্নিত করেছিলেন সেনা আধিকারিকেরা, কী ভাবে সেখানে হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, বিশদ বলেছেন রাহুল। ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।

রাহুল বলেছেন, ‘‘আমাদের সামনে একটা সীমানা ছিল। প্রতিপক্ষ ছিল দু’জন, আসলে তিন জন। পাকিস্তানই সামনে ছিল। তাদের সব রকম সাহায্য করছিল চিন। পাকিস্তানের ৮১ শতাংশ মিলিটারি হার্ডঅয়্যার চিন থেকে আসে। অস্ত্রও চিনের। আসলে পাকিস্তানের মাধ্যমে নিজেদের অস্ত্রের শক্তিপরীক্ষা করে নেয় চিন। পাকিস্তানকে ওরা লাইভ ল্যাব (গবেষণাগার) হিসাবে ব্যবহার করে।’’

পাকিস্তান এবং চিন তো হল, তৃতীয় প্রতিপক্ষ কে? রাহুল উত্তর দিয়েছেন সেই প্রশ্নেরও। জানিয়েছেন, চিন ছাড়াও পাকিস্তানকে সাহায্য করেছিল তুরস্ক। সেনাকর্তার কথায়, ‘‘পাকিস্তানকে সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল তুরস্কও। যখন ডিজিএমও স্তরের আলোচনা চলছিল, আমাদের অনেক খবর পাকিস্তান পেয়ে যাচ্ছিল চিন থেকে। আমাদের আরও শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন।’’

কী ভাবে পাকিস্তানে নিশানা চিহ্নিত করা হয়েছিল? রাহুল বলেছেন, ‘‘অপারেশন সিঁদুর থেকে আমাদের বেশ কিছু শিক্ষা হয়েছে। আমরা আমাদের প্রযুক্তির মাধ্যমে এবং গোয়েন্দা সূত্রে যে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করেছিলাম, তার ভিত্তিতে নিশানা ঠিক করা হয়েছিল। প্রথমে ২১টি জায়গা চিহ্নিত করেছিলাম আমরা। তার মধ্যে ন’টি জায়গায় হামলা চালানো উচিত বলে মনে হয়েছিল। একেবারে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।’’

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৫ সাল থেকে পাকিস্তানে ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে চিন। ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে অস্ত্র রফতানিকারক দেশ হিসাবে সারা বিশ্বে চতুর্থ স্থানে ছিল তারা। এই রফতানির ৬৩ শতাংশই গিয়েছিল পাকিস্তানে। পাকিস্তানই চিনের অস্ত্রের সবচেয়ে বড় খরিদ্দার। পাকিস্তান যে যুদ্ধবিমানগুলি ব্যবহার করে, ভারতের সঙ্গে সংঘাতের সময়ে যেগুলি ব্যবহার করা হয়েছে, তার অধিকাংশও চিন থেকে এসেছে।

গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তাতে পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। ৬ মে মধ্যরাতে পাকিস্তানে সেনা অভিযান চালানো হয়, যার নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস হয় ভারতের হামলায়। এর পর পাকিস্তানও প্রত্যাঘাত করে। টানা চার দিন ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ চলেছে। তার পর ১০ মে সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয় দু’পক্ষ। তবে এখনও দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে। সংঘর্ষবিরতির অনেক পরে একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারের সময়ে ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক (চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বা সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছিল। তবে কতগুলি? তা স্পষ্ট করেননি তিনি। এ বার আরও এক সেনাকর্তা ভারত-পাক সংঘাত নিয়ে মুখ খুললেন।

India Pakistan India Pakistan Clash India Pakistan Tension Operation Sindoor Indian Army
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy