Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Atiq Ahmed Murder

১২ বিঘা জমি হাতাতে না পেরে স্বামীকে মেরে দেয় আতিকের গুন্ডারা, পুরনো স্মৃতি হাতড়ান রামকলি

১২ বিঘা জমির উপর ছোট বাড়ি তৈরি করে সংসার পেতেছিলেন রামকলি। তাঁর কথায়, জমিটি দিয়ে দেওয়ার জন্য আতিকের লোকেরা অনুরোধ করেছিল। কিন্তু এই অনুরোধই পরে হুমকিতে বদলে যায়।

Don is dead but his torture haunts us one of Atiq Ahmed’s victims recalls being threatened

স্বামীকে মেরে দিয়েছিল আতিকের গুন্ডারা, পুরনো স্মৃতি হাতড়ান রামকলি। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
লখনউ শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:৪২
Share: Save:

গত ১৫ এপ্রিল প্রয়াগরাজে সাংবাদিকবেশী ঘাতকদের গুলিতে প্রাণ হারান উত্তরপ্রদেশের ‘গ্যাংস্টার’-রাজনীতিক আতিক আহমেদ। বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পুলিশি প্রহরায় থাকা অবস্থায় আতিক এবং তাঁর ভাইয়ের মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হয়ে যায়। উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত আতিকের ‘অত্যাচার’ নিয়েও অনেকে মুখ খুলতে থাকেন। ৩৫ বছর পর যেমন মুখ খুললেন প্রয়াগরাজের ঝালওয়া এলাকার রামকলি কুশওয়াহা।

উত্তরপ্রদেশে প্রয়াগরাজ সংলগ্ন এলাকায় কান পাতলেই শোনা যায় আতিকের নানা কীর্তির কথা। সেগুলোর সত্যাসত্য সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া গেলেও শোনা যায়, খুনজখমে হাত পাকাবার আগেই হুমকি, হুজ্জুতিতে ক্রমশ দক্ষ হয়ে উঠছিলেন প্রয়াত এই গ্যাংস্টার। ৩৫ বছর আগের পুরনো স্মৃতি হাতড়ে রামকলি জানান, তাঁর ১২ বিঘা জমি বাঁচানোর লড়়াইয়ের কথা। এই লড়াই লড়তে গিয়ে তাঁকে কী কী হারাতে হয়েছে, তা-ও জানাতে ভোলেন না পঞ্চাশোর্ধ্ব এই মহিলা।

পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ১২ বিঘা জমির উপর ছোট বাড়ি তৈরি করে সংসার পেতেছিলেন রামকলি। তাঁর কথায়, “জমিটি দিয়ে দেওয়ার জন্য আতিকের লোকেরা অনুরোধ করেছিল। কিন্তু এই অনুরোধই হুমকিতে বদলে যায়। আতিকের লোকেরা বাড়ির চার দিকে মোটরবাইক নিয়ে ঘুরত। ওদের চাপের মুখেও আমি মাথা নত করিনি।” ১৯৮৯ সালে রামকলির স্বামী ব্রিজমোহন কুশওয়াহা কাজে বেরিয়ে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান। আতিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন রামকলি। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে তাঁর অভিযোগ। রামকলি বলেন, “এরই মধ্যে প্রথম বারের জন্য বিধায়ক হয়ে আমাকে ডেকে পাঠান আতিক। বলেন আমার স্বামী আর বেঁচে নেই। এটাও বলেন যে, জমিটা দিয়ে দিলে উনি আমার পরিবারকে দেখবেন। তবু শেষ সম্বল ওই জমিটা দিতে চাইনি।”

রামকলির বয়ান অনুযায়ী, ঝালওয়ার ইন্ডিয়ান অয়েলের পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন ওই জায়গাটি পেতে চেষ্টার কসুর করেননি আতিক। এমনকি ২০১৬ সালেও তাঁর বাড়ি তাক করে গুলি ছোড়়া হয়। গুলিতে জখম হন রামকলির ছেলে। “আতিক আর নেই। এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারব।” চোখ মুছে বলেন রামকলি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE