ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাতে এসেছিল সরকারি পর্যবেক্ষক দল। দরজায় যখন বেল বাজাচ্ছিলেন আধিকারিকেরা, তখন জানলা দিয়ে নগদ এক লক্ষ টাকা, রুপোর কয়েন, সোনার গয়না ভর্তি ব্যাগ ফেলে দিয়েছিলেন সরকারি ইঞ্জিনিয়ার অশোক পণ্ডা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই ব্যাগ আটকে যায় জানলার হুকে। অভিযানকারী দলের হাতে ধরা পড়ে যান ইঞ্জিনিয়ার। ঘটনাস্থল ওড়িশা।
দিন কয়েক আগে ওড়িশার সড়ক এবং ভবন (আর অ্যান্ড বি) বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার রাজাকিশোর জেনার বাড়িতে তল্লাশি চালায় ওড়িশার ভিজিল্যান্স দফতর। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে ওই সরকারি কর্মীর বিপুল নগদ টাকা, জমি, ফ্ল্যাট-সহ আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন একাধিক সম্পত্তির হদিস পান আধিকারিকেরা। তাঁরা জানতে পারেন, সহকর্মী অশোকের সঙ্গে একটি চার বেডরুমের ফ্ল্যাট রয়েছে রাজাকিশোরের। ভুবনেশ্বরের খণ্ডগিরিতে বিলাসবহুল আবাসনের ১৬ তলায় রয়েছে সেই ফ্ল্যাট। দুই সরকারি ইঞ্জিনিয়ার তাঁদের স্ত্রীদের নামে ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন। এর পরেই তদন্তকারীদের সন্দেহ গিয়ে পড়ে অশোকের উপরে।
আরও পড়ুন:
গত ২৮ জুলাই ওড়িশার ভিজিল্যান্স দফতরের আধিকারিকেরা ওই ফ্ল্যাটে যান। গিয়ে দেখেন দরজার বাইরে তালা ঝুলছে। তাঁরা পণ্ডার সঙ্গে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। সে সময় ফ্ল্যাট থেকে ফিরে এসে পরে আবার সেটি সিল করতে যান আধিকারিকেরা। তখনই তাঁরা বুঝতে পারেন, ওই ফ্ল্যাটের ভিতরেই রয়েছেন পণ্ডা এবং তাঁর পরিবার। তদন্তকারীরা দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে তল্লাশি চালান। সে সময় দেখেন একটি ঘরের জানলার বাইরে হুকে ঝুলছে ব্যাগ। সেই ব্যাগ থেকে এক লক্ষ টাকা নগদ, কিছু নথি, ১০ গ্রাম ওজনের বেশ কয়েকটি রুপোর কয়েন, ছ’ভরি সোনা, একটি আইফোন উদ্ধার করেন সরকারি আধিকারিকেরা। সব খতিয়ে দেখে তারা জানিয়েছেন, ওই ইঞ্জিনিয়ারের আয়ের থেকে ২১৩ শতাংশ বেশি সম্পত্তি রয়েছে। ভুবনেশ্বর-সহ ওড়িশার বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ফ্ল্যাট, জমি, শপিং মলে দোকানও রয়েছে পণ্ডার। সেগুলির বেশ কয়েকটি রাজাকিশোরের সঙ্গে মিলে কিনেছিলেন তিনি। পণ্ডার একটি গাড়ি এবং তিনটি অ্যাকাউন্ট থেকে ১৭ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এখনও তদন্ত চলছে।