দিল্লি সীমানায় কৃষক আন্দোলন আজ ২৬তম দিনে পড়ল। কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবিতে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর আরও চাপ বাড়াতে চান কৃষকরা। তারই অঙ্গ হিসাবে সোমবার থেকে তাঁরা শুরু করছেন রিলে অনশন। দেশের অন্যান্য রাজ্যের কৃষকদের যোগ দেওয়ার আবেদন করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর পরবর্তী ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান চলাকালীন থালা বাজিয়ে প্রতিবাদ জানানোর জন্যও দেশবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা।
রবিবার সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ নিয়ে স্বরাজ ইন্ডিয়ার প্রধান যোগন্দ্র যাদব বলেছেন, ‘‘সোমবার থেকে ২৪ ঘণ্টার রিলে অনশন শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দিল্লি সীমানায় সমস্ত প্রতিবাদস্থলেই শুরু হবে এই অনশন। এক সঙ্গে কমপক্ষে ১১জন থাকবেন অনশনে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা কৃষকদের আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’’
অনশনের পাশাপাশি আগামী দিনে আন্দোলন চলাকালীন বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে কৃষক সংগঠনগুলির তরফে। প্রতি বছর ২৩ ডিসেম্বর ভারতে পালিত হয় কৃষক দিবস। ওই দিন দেশের সমস্ত কৃষককে দুপুরের খাবার না খাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে সংগঠনগুলি। এ নিয়ে ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের রাকেশ তিকাইত বলেছেন, ‘‘এই কিসান দিবসে দেশের সমস্ত কৃষকদের এক বেলা খাবার না খাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। যাঁরা জাতিকে খাবারের জোগান দেন তাঁরা ক্ষুধার্ত থাকেন। কারণ সরকারের কৃষক বিরোধী পদক্ষেপ। আমি সকলকে অনুরোধ করছি ওই দিন রান্না না করতে এবং কৃষকদের সঙ্গে যোগ দিতে।’’
আরও পড়ুন: বেড়ানো বাতিল, সিংঘুতে সেলুন লবের
আগামী ২৭ ডিসেম্বর প্রতি মাসের মতো এ মাসেও ‘মন কি বাত’ জানাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই অনুষ্ঠান চলাকালীন প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সেই প্রতিবাদে দেশবাসীকে সামিল হওয়ারও আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। করোনা-কালে প্রধানমন্ত্রী যে ভাবে দেশবাসীকে থালা বাজানোর অনুরোধ জানিয়েছিলেন, ঠিক সেই ঢঙেই ২৭ ডিসেম্বর 'মন কি বাত'-এর সময় থালা বাজিয়ে প্রতিবাদ জানাতে দেশবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন কৃষকরা।
দিল্লির সিংঘু, তিরকি, ইউপি গেট এবং চিল্লা সীমান্তে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে বসেছেন কৃষকরা। দিল্লির প্রবল শৈত্যপ্রবাহকে অগ্রাহ্য করেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। সোমবার তাঁদের আন্দোলন ২৬-তম দিনে পড়ল। এই ২৫ দিনে অন্তত ২৪ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: কিসান একতা মোর্চার পেজ ব্লক ফেসবুকের