প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কেন্দ্রকে ফের ‘কৃষক-বন্ধু’ বলেই উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কৃষি আইন নিয়ে কৃষক বিক্ষোভের আবহেই সোমবার এল তাঁর নয়া বার্তা। তবে কৃষক মন পেতে কৃষিক্ষেত্রে নতুন কোনও পদক্ষেপের ঘোষণা অবশ্য করেননি তিনি। বদলে কেন্দ্রের ‘কৃষকপন্থী’ অবস্থানের স্বপক্ষে বেছে নিয়েছেন এ বারের বাজেটে কৃষিক্ষেত্রে বরাদ্দের হিসাব নিকাশকেই। পাশাপাশি, কংগ্রেস যে দু’তিন দশক সরকারে থাকাকালীন কৃষিক্ষেত্রে উন্নতিতে কোনও কাজই করেনি, সে ব্যাপারেও পাল্টা অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদী বলেন, ‘‘ছোট এবং মাঝারি কৃষকদের বাদ দিয়ে দেশ কখনওই এগিয়ে যেতে পারবে না। তাই তাঁদের সাহায্য করার জন্য এ বারের বাজেটে নানা বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম কৃষিঋণের ব্যবস্থা। এ বারের বাজেটে কৃষিঋণের পরিমাণ বাড়িয়ে ১৬.৫০ লক্ষ টাকা করেছে কেন্দ্র।’’ মোদীর বক্তব্য, ‘‘এর পাশাপাশি কৃষি পরিকাঠামো খাতেও বরাদ্দ করা হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পগুলিকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া জন্যও বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে।’’
তবে এইসব বরাদ্দ আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাজেটে। তাহলে নতুন করে আবার বলা কেন? অনেকের ধারণা, কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলন ৩ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও সমাধানসূত্রে মেলেনি। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও শুরু হয়েছে সমালোচনা। এর মধ্যে কেন্দ্রের ভাবমূর্তিতে যাতে কৃষক বিরোধী কোনও ছাপ না পড়ে, তার জন্যই পুরনো ঘোষণা নতুন করে করতে হল প্রধানমন্ত্রীকে।
কৃষি আন্দোলনকারীদের বিরোধীরা উসকানি দিচ্ছে বলে এর আগে বারবার অভিযোগ করেছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী সোমবার দেশের কৃষি ক্ষেত্রের পিছিয়ে পড়ার দায় চাপান কংগ্রেস সরকারের উপর। বলেন, পূর্ববর্তী সরকার দু’-তিন দশক ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও কৃষিক্ষেত্রের জরুরি বিষয়গুলিকে উন্নত করার ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়নি। প্রতিবছর যেভাবে দেশের ফসল উৎপাদন বাড়ছে, তাতে তার সঠিক ব্যবহারের জন্য খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রেও বিপ্লব দরকার ছিল। কেন্দ্র তার ব্যবস্থা করেছে। তবে এই ব্যবস্থা যদি দু’তিনদশক আগে করা যেত, তব দেশের কৃষকেরা আজ আরও উন্নতি করতেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy