Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Mahua Moitra

বাংলো খালির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মহুয়া, কী যুক্তিতে মামলা তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাংসদের

‘ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন’ কাণ্ডে মহুয়া মৈত্র লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হন। তার পর বাংলো খালি করার জন্য তাঁকে নির্দেশ পাঠাতে বলে কেন্দ্রীয় আবাসন এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রককে চিঠি দেয় সংসদের আবাসন কমিটি।

Mahua Moitra

মহুয়া মৈত্র। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৫৩
Share: Save:

দিল্লির সরকারি বাংলো ছাড়তে বলা হয়েছে তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। কেন্দ্রীয় সরকারের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এ বার দিল্লি হাই কোর্টে গেলেন তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী। আদালতে মহুয়ার যুক্তি, সাংসদ পদ খারিজের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। তার শুনানি এখনও হয়নি। এর মধ্যে কেন বাংলো ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হল তাঁকে?

‘ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন’ কাণ্ডে মহুয়াকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয় গত ৮ ডিসেম্বর। তার অব্যবহিত পরে সাংসদের বাংলো খালি করার জন্য মহুয়াকে নির্দেশ পাঠাতে বলে সংসদের আবাসন কমিটি। ওই মর্মে তারা একটি চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় আবাসন এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রককে। তার পর গত ১১ ডিসেম্বর মহুয়াকে বাংলো ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সময় বেঁধে দেওয়া হয় ১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেছেন মহুয়া। তাঁর আবেদন, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা পর্যন্ত যাতে তিনি সরকারি বাংলোয় থাকতে পারেন, সেই নির্দেশ দিক আদালত। মহুয়ার আইনজীবী জানান, যদি তাঁর মক্কেলকে সংশ্লিষ্ট সময়ের জন্য বাংলোয় থাকার অনুমতি দেওয়া হয়, তা হলে বর্ধিক সময়ের জন্য প্রযোজ্য যে কোনও খরচ দিতেও প্রস্তুত। আগামী মঙ্গলবার বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে।

বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ করেছিলেন, ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া। নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এ সবের জন্য শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির থেকে উপহার নিয়েছেন মহুয়া। তৃণমূল নেত্রীর প্রাক্তন বান্ধব জয় অনন্ত দেহাদ্রাইও অভিযোগ করেছিলেন যে, সংসদে নিজের মেল আইডির লগইন, পাসওয়ার্ড হীরানন্দানিকে দিয়েছিলেন মহুয়া। সেখানে সরাসরি প্রশ্ন পাঠাতেন শিল্পপতি। যদিও মহুয়া ‘ঘুষ’ নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে সংসদে নিজের মেল আইডির লগইন, পাসওয়ার্ড দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। জানান, অনেক সাংসদই এ রকম করে থাকেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয় মহুয়াকে। যার পাল্টা তৃণমূলের এই বলিয়ে কইয়ে নেত্রী জানিয়ে দেন, এই ঘটনার শেষ দেখে ছাড়বেন। আগামী ৩০ বছর লোকসভার ভিতরে এবং বাইরে থেকে লড়াই করার কথাও বলেন।

৮ ডিসেম্বর বহিষ্কারের পর লোকসভা থেকে বেরিয়ে মহুয়া বলেছিলেন, ‘‘এমন একটা কারণের জন্য আমাকে বহিষ্কার করা হল, যা লোকসভার সকল সদস্যের মধ্যে প্রচলিত একটি অভ্যাস। আমি কারও কাছ থেকে টাকা নিয়েছি বা কোনও উপহার নিয়েছি, তার কোনও প্রমাণ নেই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মোদী সরকার যদি ভেবে থাকে, আমাকে এ ভাবে চুপ করিয়ে আদানি ইস্যু থেকে তারা মুক্তি পাবে, তবে ভুল ভাবছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mahua Moitra TMC Delhi High Court Bungalow
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE