দেশবাসীর উদ্দেশে চিঠি সিসৌদিয়ার। — ফাইল চিত্র।
তিহাড় জেলে বসেই দেশবাসীর উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখলেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। সেই চিঠি টুইটারে শেয়ার করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। চিঠিটি টুইট করার সময় কেজরীওয়াল লিখেছেন, “বিজেপি জেলে ভরার রাজনীতি করে। আমরা বাচ্চাদের পড়ানোর রাজনীতি করি। জেলে ভরা সোজা, কিন্তু বাচ্চাদের পড়ানো কঠিন কাজ। জেলে ভরলে দেশ এগোবে না। শিক্ষার মাধ্যমে এগোবে।”
বৃহস্পতিবার তিহাড় জেলের সেল থেকে ‘শিক্ষা, রাজনীতি এবং জেল’ শীর্ষক চিঠিটিতে দেশবাসীর উদ্দেশে সিসৌদিয়া লিখেছেন, “শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার পর মনে বহু বার একটাই প্রশ্ন জেগেছে। দেশ এবং রাজ্যের সিংহাসনে বসা নেতারা আজ পর্যন্ত দেশের বাচ্চাদের জন্য ভাল স্কুল এবং কলেজ তৈরি করেননি কেন? যদি দেশের রাজনীতি মনে-প্রাণে শিক্ষার উন্নতিসাধনে কাজে লাগত তবে উন্নত দেশের মতো আমাদের বাচ্চাদের জন্যও ভাল ভাল স্কুল হত। কিন্তু তা হল না কেন?”
मनीष सिसोदिया ने जेल से देश के नाम पत्र लिखा-
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) March 9, 2023
बीजेपी लोगों को जेल में डालने की राजनीति करती है, हम बच्चों को पढ़ाने की राजनीति कर रहे हैं। जेल भेजना आसान है, बच्चों को पढ़ाना बहुत मुश्किल। राष्ट्र शिक्षा से आगे बढ़ेगा, जेल भेजने से नहीं। pic.twitter.com/qVwOCrVLDR
এই প্রশ্নের উত্তরও তিনি এই ক’দিন জেলের মধ্যে থেকেই পেয়েছেন বলেও চিঠিতে দাবি করেছেন সিসৌদিয়া। তিনি লিখেছেন, “জেল চালিয়েই যখন রাজনৈতিক সফলতা পাওয়া যাচ্ছে তখন স্কুল চালানোর প্রয়োজন পড়বেই বা কেন।” তিন পাতার চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, “আজ জেলের রাজনীতি সফল হলেও ভারতের ভবিষ্যৎ গড়বে স্কুলের রাজনীতি, শিক্ষার রাজনীতি। জেলের শক্তিতে নয়, শিক্ষার শক্তিতে ভারত বিশ্ব শ্রেষ্ঠ হবে।”
অন্য দিকে, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় শুক্রবারই সিসৌদিয়ার জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ঠিক তাঁর আগের দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই সিবিআই হেফাজতে থাকা সিসৌদিয়াকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আবগারি দুর্নীতির অভিযোগে সিসৌদিয়াকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পর নয়া আবগারি নীতির ক্ষেত্রে আর্থিক অনিয়মের তদন্ত করতে গিয়ে জেলে গিয়ে সিসৌদিয়াকে পর পর দু’দিন জেরা করে ইডি। তার পরেই গ্রেফতারির সিদ্ধান্ত। শুক্রবার সিসৌদিয়াকে দিল্লির আদালতে তুলবে ইডি। সেখানে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চাইবে তদন্তকারী সংস্থা, এমনটাই ইডি সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy