আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং আপের মেয়র পদপ্রার্থী শেলি ওবেরয়। ফাইল চিত্র।
আম আদমি পার্টি (আপ) এবং বিজেপির কাউন্সিলরদের সংঘাতের জেরে দু’দফায় ভেস্তে গিয়েছে দিল্লি পুরসভার মেয়র নির্বাচন প্রক্রিয়া। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দলের মেয়র পদপ্রার্থী শেলি ওবেরয়।
শীর্ষ আদালতের কাছে দু’টি আবেদন জানিয়েছেন শেলি। প্রথম, দ্রুত মেয়র নির্বাচন করা। দ্বিতীয়, লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা মনোনীত ১০ জন অল্ডারম্যানকে মেয়র ও ডেপুটি মেয়র নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুমতি না দেওয়া। বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই লেফটেন্যান্ট গভর্নর মেয়র নির্বাচনের আগে অল্ডারম্যান নিয়োগ করেছেন বলে শীর্ষ আদালতের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে আপ।
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের গোড়ায় পুরভোটে ২৫০ আসনের দিল্লি পুরনিগমে ১৩৪টি ওয়ার্ডে জিতেছিল কেজরীওয়ালের আপ। ক্ষমতাসীন বিজেপি নেমে আসে ১০৪-এ। ৯টি ওয়ার্ডে জেতেন কংগ্রেস প্রার্থীরা। তবে দিল্লির মেয়র নির্বাচনে সেখানকার রাজ্যসভার ৩ জন ও লোকসভার ৭ জন সাংসদ এবং ১৪ জন বিধায়কেরও ভোটাধিকার রয়েছে। যার অর্থ, মোট ২৭৪টি ভোটের মধ্যে যে দল ১৩৮টি ভোট পাবে, সেই দলের প্রার্থীই মেয়র পদে জয়ী হবেন।
অঙ্কের হিসাবে ১৩৪ জন কাউন্সিলর, রাজ্যসভার ৩ জন সাংসদ এবং ১৩ জন বিধায়কের ভোট আপের পক্ষে রয়েছে। অর্থাৎ, সকলে ভোট দিলে ১৫০টি ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচনে আপের প্রার্থীরই জেতা উচিত। অন্য দিকে, বিজেপি পুরভোটে জেতে ১০৪টি আসনে। পরে এক জন নির্দল কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এ ছাড়া লোকসভার ৭ সাংসদ এবং ১ জন বিধায়কের ভোট বিজেপি পক্ষে ছিল। সে ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে পুরসভায় এই মুহূর্তে নরেন্দ্র মোদীর দলের শক্তি ১১৩।
কিন্তু অঙ্কের হিসাবে জয় অসম্ভব হলেও পদ্ম-শিবির মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ায় নতুন করে অশান্তি তৈরি হয় দিল্লিতে। এই পরিস্থিতিতে গত ৬ জানুয়ারি এবং ২৪ জানুয়ারি পর পর দু’বার পুরসভার অধিবেশনে লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিযুক্ত রিটার্নিং অফিসার তথা বিজেপি কাউন্সিলর সত্য শর্মা ১০ অল্ডারম্যানের শপথে উদ্যোগী হলে বাধা দেন আপ কাউন্সিলররা। গন্ডগোলের জেরে ভেস্তে যায় মেয়র নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে নয়া পুরবোর্ড গঠন না হলে দিল্লিতে নাগরিক পরিষেবায় সমস্যা দেখা দেবে বলে অভিযোগ আপ নেতৃত্বের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy