গুটখা, পানমশলা এবং অন্য তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারী বেশ কিছু সংস্থা নিয়ম ভাঙছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে এ বার কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস পাঠাল জাতীয় পরিবেশ আদালত (এনজিটি)। এ বিষয়ে কেন্দ্রের থেকে জবাব চেয়েছে এনজিটি। প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধি যাতে কঠোর ভাবে মেনে চলে এই সংস্থাগুলি, তার জন্য কী ব্যবস্থা করা হচ্ছে, সে বিষয়ে কেন্দ্রের থেকে জানতে চেয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালত।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে এই জাতীয় ২৫টি সংস্থার জন্য কিছু নির্দেশিকা জারি করেছিল। তার মধ্যে অন্যতম ছিল, পরিবেশবান্ধব উপায়ে জিনিস তৈরি করতে হবে। যত দিন না সেটি করা হচ্ছে, তত দিন কাজ বন্ধ থাকবে। মামলাকারীর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ওই নির্দেশিকার মধ্যে বেশ কয়েকটি মানা হচ্ছে না। তাঁর দাবি, নির্দেশিকা অনুসারে গুটখা, পানমশলা এবং অন্য তামাকজাত পণ্য মজুত, প্যাকিং এবং বিক্রির জন্য প্লাস্টিকের তৈরি প্যাকেট (স্যাশে) ব্যবহার করা যাবে না। প্লাস্টিকের প্রলেপ বসানো কোনও জিনিসও এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু সেই নিয়ম অনেক সংস্থাই মানছে না।
আরও পড়ুন:
মামলার শুনানিতে অভিযোগকারীর আইনজীবী জানান, এই সংস্থাগুলি নিয়ম ভাঙার পরেও তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। পণ্য বাজেয়াপ্ত করা বা কারখানা বন্ধ করে দেওয়া কিংবা জরিমানা— কিছুই হয়নি বলে দাবি আইনজীবীর। এই অবস্থায় মামলাকারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে জাতীয় পরিবেশ আদালতের চেয়ারপার্সন প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চ কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চেয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে ফের এই মামলাটি শুনতে পারে জাতীয় পরিবেশ আদালত।