Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
terror

নাশকতা নির্মূল করতে কড়া প্রত্যাঘাতের পক্ষে ভারত, সন্ত্রাস-সম্মেলনে জানালেন মোদী-শাহ

আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স’ (এফএটিএফ)-এর ধূসর তালিকা থেকে সম্প্রতি বাদ গিয়েছে পাকিস্তানের নাম। এই পদক্ষেপে সম্মতি নেই নয়াদিল্লির।

দিল্লিতে ‘নো মানি ফর টেরর’ (এনএমএফটি) শীর্ষক আলোচনাচক্রে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ।

ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২২ ১৪:০৫
Share: Save:

সন্ত্রাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে গোটা বিশ্ব অবহিত হওয়ার আগেই ভারত তা টের পেয়েছিল। শুক্রবার দিল্লিতে ‘নো মানি ফর টেরর’ (এনএমএফটি) শীর্ষক আলোচনাচক্রে এই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সন্ত্রাসের প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই সমতুল ক্রোধ এবং প্রত্যাঘাত প্রয়োজন।’’ এ ক্ষেত্রে নাম না করে তিনি উরি-সন্ত্রাসের পর ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ এবং পুলওয়ামা হামলার জবাবে বালাকোটে বিমানহানার প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্য দিকে, দিল্লিতে আয়োজিত ওই আলোচনাচক্রে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্য, ‘‘সন্ত্রাসের চেয়েও সন্ত্রাসে আর্থিক মদত বড় অপরাধ।’’ পাকিস্তানের নাম না করে মোদী এবং শাহ দু’জনের সন্ত্রাসে মদতের অভিযোগ তোলেন পড়শি দেশের বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক দুনিয়াকে মোদীর বার্তা, ‘‘জিরো টলারেন্স নীতি না নিলে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাফল্য পাওয়া কঠিন।’’ শাহের কথায়, ‘‘আল কায়দার পাশাপাশি লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গিগোষ্ঠী এখনও সক্রিয়। তাদের দমন করা প্রয়োজন।’’

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স’ (এফএটিএফ)-এর ধূসর তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে পাকিস্তানের নাম। জঙ্গি কার্যকলাপে অর্থ জোগানের অভিযোগে, গত চার বছর অভিযুক্ত পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাতে রাখা হয়েছিল। কিন্তু গত এক বছরে ইসলামাবাদ সন্ত্রাসে আর্থিক মদত রুখতে সক্রিয়তা দেখিয়েছে বলে রাষ্ট্রপুঞ্জ, আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (আইএমএফ), বিশ্ব ব্যাঙ্ক, ‘দ্য এগমন্ট গ্রুপ অফ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’-সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে রায় দিয়েছেন। সঙ্গত কারণেই সেই পদক্ষেপে সায় নেই নয়াদিল্লির। শুক্রবার মোদী-শাহের বক্তৃতায় তার আঁচ মিলেছে।

প্রসঙ্গত, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার পরে সন্ত্রাসে অর্থের জোগান রোখা সংক্রান্ত তৃতীয় দফার মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকটি শুরু হয়েছে ভারতে। মোট ৭২টি দেশ ও সন্ত্রাস দমনের সঙ্গে যুক্ত ১৫টি সংস্থা ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছে। কিন্তু সেই তালিকায় নেই পাকিস্তান, আফগানিস্তান, চিনের মতো দেশ। পশ্চিম এশিয়ার দেশ কাতার জানিয়েছে বিশ্বকাপের কারণে তারা সন্ত্রাস বিরোধী বৈঠকে যোগ দেবে না। ইরাকের দাবি, সে দেশে ভোটের আয়োজন চলছে। ফলে কোনও প্রতিনিধি আসবেন না এনএমএফটি বৈঠকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE