প্রতীকী চিত্র।
কেরলের মলপ্পুরমের এক ১৭ বছরের তরুণীর অভিযোগ হাড়হিম করে দেওয়ার মতো। সে জানিয়েছে, শেষ কয়েক মাস ধরে ৩৮ জন পুরুষ নানা ভাবে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানী করেছে তাঁর। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে ৪৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, যাঁদের বেশিরভাগকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ মোট ৩২টি পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ৩টি ধর্ষণের ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই তরুণী মল্লপুরম জেলার পান্ডিকড এলাকার বাসিন্দা। তরুণীর মা ২০১৫ সালে তার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করে পুলিশের কাছে। তারপর পুলিশ উদ্ধার করে তাকে পরিবারের হাতে তুলে দেয়। সেই সময়ে পকসো আইনে দু’টি মামলা রুজু করা হয়। ২০১৭ সালে একই রকম একটি অভিযোগ দায়ের হয় পরিবারের পক্ষ থেকে।
প্রায় প্রতিটি মামলায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ পকসো আইনে শুনানি চালাচ্ছে। তারপর গত ডিসেম্বর মাসের শেষে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, তরুণী তার বন্ধুর মোটর সাইকেলে বেরিয়েছিল, তারপর ফেরেনি। যেহেতু সে নাবালিকা, ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তাই তার বয়ান রেকর্ড করানো হয়।
প্রথমবারের বয়ানে সে উল্লেখ করে ১৫টি যৌন হেনস্থার ঘটনার কথা। একমাস পর ফের নতুন করে তার বয়ান রেকর্ড করা হয়, সেখানে সে বলে আরও ১২টি যৌন হেনস্থার কথা। যার মধ্যে রয়েছে একটি ধর্ষণের ঘটনাও। তরুণী জানিয়েছে, মা দিনমজুরি করতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেন, তখন সারাদিন একাই থাকতে হত তাকে। সেই সময় পাড়া, প্রতিবেশীরা তাকে হেনস্থা করতেন। আপাতত সে শিশু সেবা কেন্দ্রের একটি হোমে রয়েছে। পুলিশ তার অভিযোগের ভিত্তিতে ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে। বাকি আরও ২০ জনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy