বাধাহীন ফুটপাথ ব্যবহারের অধিকার সংবিধানে বর্ণিত মানুষের জীবনের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে! বুধবার এমনটাই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ফুটপাথকে অবশ্যই দখলমুক্ত রাখতে হবে। পথচারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দেশের প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়সীমাও। দু’মাসের মধ্যে ওই গাইডলাইন স্থির করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঞাঁর বেঞ্চ।
বুধবার শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চে পথ সুরক্ষা সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলছিল। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে মামলাকারীর আইনজীবী জানান, দেশে যত পথ দুর্ঘটনা হয়, তার ১৯.৫ শতাংশ দুর্ঘটনাতেই পথচারীদের মৃত্যু হয়। শুনানিতে আদালতবান্ধব (অ্যামিকাস কিউরি) গৌরব আগরওয়াল জানান, পথচারীদের জন্য সঠিক পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করার দায়িত্ব ভারতের জাতীয় মহাসড়ক নিগম (এনএইচএআই), রাজ্য সরকার এবং পুরসভাগুলির। পথচারীদের জন্য কেমন পরিকাঠামো হওয়া উচিত, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকেরও নির্দিষ্ট গাইডলাইন রয়েছে বলে জানান তিনি।
মামলার শুনানিতে সুরক্ষিত ফুটপাথের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে সুপ্রিম কোর্ট। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, বাধাহীন ফুটপাথের অধিকার হল মানুষের জীবনের অধিকারের অন্তর্গত। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, সমস্ত ফুটপাথ এমন ভাবে তৈরি হতে হবে যাতে সেটি সকলে ব্যবহার করতে পারেন, বিশেষ করে যেন শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য তা উপযুক্ত হয়। ফুটপাথগুলি অবশ্যই দখলমুক্ত রাখতে হবে বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বস্তুত, এর আগে মুম্বইয়ের এক মামলাতেও সুপ্রিম কোর্ট বাধাহীন ফুটপাথের বিষয়ে মন্তব্য করেছিল। ওই সময়েও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, পথচারীদের জন্য বাধাহীন ফুটপাথের অধিকার একটি মৌলিক অধিকারের সামিল।
আরও পড়ুন:
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে ইতিমধ্যে ‘ইন্ডিয়ার রোড কংগ্রেস’ এবং অন্য নিয়ামক সংস্থাগুলি যে গাইডলাইন স্থির করেছে, সেই অনুসারে সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে দু’মাসের মধ্যে গাইডলাইন তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি কেন্দ্র যে গাইডলাইন ও নীতি তৈরি করেছে, সেটিও ওই একই সময়ের মধ্যে আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে। আগামী ১ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।