বাড়ি থেকে উদ্ধার একই পরিবারের তিন জন সদস্যের দেহ। মৃতদের মধ্যে রয়েছে ১২ বছরের এক নাবালকও। কী কারণে মৃত্যু তা এখনও পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ঋণের দায়েই আত্মহত্যা করেছেন সকলে।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আগরায়। সংবাদমাধ্যম সূ্ত্রে খবর, রবিবার সকালে ওই বাড়ি থেকে তরুণ নামে এক ব্যবসায়ী, তাঁর স্ত্রী এবং ছেলের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সকালে কাজ করতে এসে পরিচারিকা প্রথম দেখেন বাড়ির দরজা খোলা। ঘরে ঢুকে দেখেন সিলিং থেকে ঝুলছে বাড়ির মালিকের দেহ। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীদের খবর দেন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে অন্যান্য ঘর থেকে এক মহিলা এবং বাচ্চার দেহ পায় তারা।
আরও পড়ুন:
পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি এলাকায় জলি নামে পরিচিত। জলের পাইপের ব্যবসা করতেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, জলির মাথার উপর দেড় কোটি টাকার ঋণ ছিল। ব্যবসায় বিপুল টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী।
পুলিশ মৃত ব্যক্তির মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে একটি ভিডিয়ো পেয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিডিয়োতে জলি নিজের আর্থিক ক্ষতির কথা ব্যাখ্যা করেছেন। সেখানেই কঠোর পদক্ষেপ করার কথাও বলেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।