নির্বাসিত তিব্বতি সরকারের রাজনৈতিক প্রধান পেনবা শেরিং। — ফাইল চিত্র।
এক দশক পরে আবার ভারতে স্বেচ্ছানির্বাসিত তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামার অনুগামীদের সঙ্গে চিনের আলোচনার দরজা খুলেছে। বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন নির্বাসিত তিব্বতি সরকারের (সিটিএ) রাজনৈতিক শাখার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক (সিকোং) পেনপা শেরিং। তিনি বলেন, ‘‘এক দশক পরে আবার আমাদের সঙ্গে চিনের আলোচনা শুরু হয়েছে।’’
যদিও এখনও পর্যন্ত সেই আলোচনায় কোনও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি বলে জানিয়েছেন শেরিং। সিটিএর প্রধান দলাই লামা গত বছরই জানিয়েছিলেন, তিব্বতের স্বাধীনতার দাবি ত্যাগ করে তিনি বেজিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। তিনি বলেন, “আমরা স্বাধীনতা চাইছি না। বহু বছর ধরেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা চিনের অংশ। এখন চিনের বদল হচ্ছে। ঘরোয়া ভাবে হোক বা আনুষ্ঠানিক ভাবে— চিন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইছে। কারও উপর আমার রাগ নেই। তিব্বতের প্রতি চিনের যে নেতারা এতটা খারাপ ব্যবহার করেছেন, তাঁদের প্রতিও আমাদের রাগ নেই। চিন ঐতিহাসিক ভাবেই বৌদ্ধদের দেশ। আমি সেই দেশে গিয়ে এটা বুঝতে পেরেছিলাম।”
তিব্বতিদের উপর চিনের কমিউনিস্ট সরকারের দমনপীড়নের বিরুদ্ধে গত ছ’দশক ধরে সরব দলাই লামা। ১৯৫৯ সালে চিন প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে তিনি ভারতে চলে এসেছিলেন। ভারত তাঁকে আশ্রয় দিয়েছিল। পৃথক রাষ্ট্রের দাবিতে, তিব্বতের স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে গোটা বিশ্বে প্রতিবাদ করে চলেছেন দলাই অনুগামী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। এই পরিস্থিতিতে নির্বাসিত তিব্বতি সরকারের সঙ্গে শি জিনপিং সরকারের আলোচনা দীর্ঘ দিনের পুরনো এই সমস্যার ইতিবাচক সমাধানের পথ খুলতে পারে বলে মনে করছেন কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy