—ফাইল চিত্র।
তৃণমূল কংগ্রেস যে অবস্থানই নিক, বাজেট অধিবেশনে কংগ্রেস সব ‘সমমনস্ক’ বিরোধী দলের সঙ্গে মিলেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে চায়। সেই তালিকায় তৃণমূলও রয়েছে। কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য— এ বার তৃণমূলকেই ঠিক করতে হবে, তারা কংগ্রেস-সহ বাকি বিরোধীদের সঙ্গে সহযোগিতা করবে, না আলাদা চলবে।
গত শীতকালীন অধিবেশনে তৃণমূল নেতৃত্ব সংসদে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব রেখে চলার নীতি নিয়েছিল। বিরোধী শিবিরের সমন্বয়ের জন্য রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের ঘরে প্রতিদিন বিরোধী দলের নেতাদের বৈঠকেও তৃণমূল গরহাজির থাকত। এর পর থেকেই তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব কংগ্রেসকে রীতিমতো নিশানা করতে শুরু করে।
আজ বাজেট অধিবেশনের রণনীতি ঠিক করতে সনিয়া গান্ধী কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। বৈঠকের পরে সমমনস্ক দলগুলির সঙ্গে মিলে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। বৈঠকের পরে কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, “আমরা বিরোধী শিবিরে সমন্বয়ের জন্য প্রথা অনুযায়ী সব দলকেই ডাকব। এ বার বাকিদের ঠিক করতে হবে কে বিরোধী শিবিরে থাকবে, কে বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে বিজেপিকে সুবিধা করে দেবে।” উল্টো দিকে তৃণমূল শিবিরের অবস্থান হল, পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হবে। তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, শীতকালীন অধিবেশনে তৃণমূল বিরোধী হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। বাজেট অধিবেশনেও তা-ই হবে।
রাজনৈতিক শিবির মনে করিয়ে দিচ্ছে, গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তৃণমূল নেতৃত্ব আগের সুর বদলে গোয়ায় কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করতে চেয়েছে। কংগ্রেস তা নাকচ করে দেওয়ায় অভিষেক বলেছেন, কংগ্রেসকে ভোট মানেই বিজেপিকে ভোট। আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কংগ্রেসের সঙ্গে বিরোধী জোট করতে সনিয়াকে বার্তা পাঠিয়েছেন। সনিয়া যে প্রস্তাবে উৎসাহ দেখাননি। তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, এই প্রেক্ষিতে তাঁরা কংগ্রেসে সঙ্গে দূরত্ব রেখে চলবেন বলেই এখনও পর্যন্ত ঠিক রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy