প্রতীকী ছবি।
রাখিবন্ধন সেরে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফিরছিল দুই বোন। সেই সময় তাদের পথ আটকে দাঁড়ান ৯-১০ জন যুবক। তার পর রাস্তা থেকে দুই বোনকে জোর করে তুলে নিয়ে যান ওই যুবকেরা। অভিযোগ, একটি পরিত্যক্ত জায়গায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় দুই বোনকে। ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীসগঢ়ের রাইপুরে। নির্যাতিতাদের এক জনের বয়স ১৯, অন্য জনের বয়স ১৬।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাইপুরের রিমস মেডিক্যাল কলেজের সামনে থেকে দুই বোনকে তুলে নিয়ে যান অভিযুক্তেরা। তাদের সঙ্গে এক যুবকও ছিলেন। অভিযোগ, তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ওই যুবকই তরুণীদের বাড়িতে খবর দেন। তার পর তরুণীদের পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে।
সেই অভিযোগ পেয়েই দ্রুত তল্লাশি অভিযানে নামে পুলিশের একটি দল। রিমস মেডিক্যাল কলেজের অদূরেই ওই দুই তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তার পর তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, দশ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁদের গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যে দশ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে পুনম ঠাকুর মূল অভিযুক্ত। এই পুনমই বিজেপি নেতা লক্ষ্মীনারায়ণ সিংহের পুত্র। তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অপরাধের মামলা রয়েছে। গত মাসেই একটি মামলায় জামিন পেয়ে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। পুনম ছাড়াও এই গণধর্ষণের ঘটনায় বেশ কয়েক জন অভিযুক্ত আবার কুখ্যাত দুষ্কৃতী।
রাইপুরের সিনিয়র পুলিশ সুপার প্রশান্ত আগরওয়াল বলেন, “দুই বোন এবং তাদের সঙ্গীর ফোন, টাকাপয়সা কেড়ে নিয়েছিলেন অভিযুক্তদের মধ্যে তিন জন। এই তিন জনই দুই বোন এবং তাদের সঙ্গীকে আটকে রাখেন। পরে সেখানে মোটরবাইকে করে আরও সাত অভিযুক্ত আসেন। তার পর দুই বোনকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেন।”
পুলিশ জানিয়েছে, মূল অভিযুক্ত বিজেপি নেতার পুত্রের বিরুদ্ধে মন্দির হাসাউদ এবং আরাং থানায় আগেও একাধিক বার অভিযোগ জমা পড়েছিল। ২০১৯ সালে খুন এবং ২০২২ সালে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। পরে জামিনে ছাড়া পান। সম্প্রতি একটি মামলাতেও জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন পুনম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy