বেশ কিছু দিন ধরে কিডনির অসুখে ভুগছিলেন। দীর্ঘ রোগভোগের পর গত বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় রূপেশ নামে ৩৫ বছরের এক যুবকের। স্বামীর মৃত্যুশোক সহ্য করতে না পেরে পরের দিনই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন স্ত্রী। তাঁর বয়স ৩২ বছর। দম্পতির মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ উত্তরপ্রদেশের ফিরোজ়াবাদের গ্রাম।
ফিরোজ়াবাদের ঝলকারি নগর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন রূপেশ। মাত্র তিন বছর আগে রীনা নামে এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। দম্পতির এক বছরের একটি সন্তান রয়েছে।প্রতিবেশীরা বলছেন, বিয়ের পর এক দিনও ওই দম্পতিকে ঝগড়া করতে শোনেননি তাঁরা। কিন্তু সুখের সংসারে বেশি দিন সুখ ক্ষণস্থায়ী হল না। কয়েক মাস আগে হঠাৎ কিডনির অসুখ ধরা পড়ে রূপেশের। সেই থেকে রীনা মনমরা থাকতেন। গত বুধবার থেকে রূপেশ প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় তাঁর। এক প্রতিবেশীর কথায়, ‘‘স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে টানা কান্নাকাটি করছিল রীনা। সবাই ওকে সামলানোর চেষ্টা করি। সন্তানের মুখ চেয়ে ওকে শক্ত হতে বলি আমরা। কিন্তু সে আর পারল কই!’’
বৃহস্পতিবার রূপেশের শেষকৃত্যের পর নিজের ঘরে ঘুমোতে চলে যান রীনা। শুক্রবার সকাল হতেই কয়েক জন প্রতিবেশী রীনার বাড়িতে যান। কিন্তু ডাকাডাকি করেও দরজার ও পার থেকে জবাব পাননি কেউ। ভয় পেয়ে যান সকলে। পুলিশকে ডেকে ভাঙা হয় ঘরের দরজা। সকলে ঘরে ঢুকে দেখেন, সিলিং ফ্যান থেকে ঝোলানো ওড়না গলায় পেঁচিয়ে ঝুলে রয়েছেন রীনা। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা রীনাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন:
মাত্র এক দিনের ব্যবধানে ৩৫ বছরের স্বামী এবং ৩২ বছরের স্ত্রীর অকালমৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পুরো এলাকা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি গোপাল যাদব বলেন, ‘‘এলাকায় ভাল ছেলে বলে পরিচিত ছিলেন রূপেশ। হঠাৎ ওঁর কিডনির অসুখ ধরা পড়ে। বেশ কিছু দিন ধরে চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু সবার চেষ্টা ব্যর্থ করে অকালে চলে গেলে ছেলেটি। সেই শোকে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে শুনলাম। খুবই দুঃখজনক ঘটনা।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, যুবতীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। তদন্ত চলছে।