Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

সিরিয়ায় ঘর হারাতে পারেন চার লক্ষ, দাবি রাষ্ট্রপুঞ্জের

আন্তর্জাতিক চাপ বাড়লেও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইপ এর্ডোয়ান আজও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, সিরিয়া সীমান্তে কুর্দ বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ হবে না।

বিধ্বস্ত সিরিয়া। ছবি: এএফপি

বিধ্বস্ত সিরিয়া। ছবি: এএফপি

সংবাদ সংস্থা
জেনিভা শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৯ ০২:২০
Share: Save:

গত কাল পর্যন্ত যে সংখ্যাটা ছিল এক লক্ষ, আজ এক লাফে সেটাই চার লক্ষে পৌঁছবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় তুরস্কের সেনা বাহিনীর হামলায় ইতমিধ্যেই সিরিয়ার এক লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া। এরই মধ্যে আজ রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংস্থার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিনে আরও তিন লক্ষ মানুষ গৃহহীন হতে চলেছেন সেখানে। প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া সিরিয়াবাসী এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছেন। বিশেষত স্কুলগুলিতে উপচে পড়ছে ভিড়।

আন্তর্জাতিক চাপ বাড়লেও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইপ এর্ডোয়ান আজও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, সিরিয়া সীমান্তে কুর্দ বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ হবে না। উল্টে তাঁর দাবি, সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাংশ জঙ্গিমুক্ত হলে সিরিয়ার সাধারণ মানুষ নিজেদের ভিটেয় ফিরে গিয়ে সেখানে স্বাধীন ভাবে থাকার সুযোগ পাবেন।

এর্ডোয়ান আরও জানিয়েছেন, আপাতত সিরিয়ার ভিতরে ৩০-৩৫ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে তাঁর সেনা। আজ এই সেনা অভিযান পাঁচ দিনে পড়ল। এর্ডোয়ান জানিয়েছেন, তাদের বাহিনীর দু’জন সেনা কুর্দদের সঙ্গে লড়াইয়ে প্রাণ দিয়েছেন। মারা গিয়েছে ১৬ জন সিরীয় বিদ্রোহীও। সীমান্তবর্তী সিরীয় শহর তাল আবিয়াদ ইতিমধ্যেই তুরস্কের সেনা বাহিনীর দখলে চলে এসেছে বলেও দাবি তুরস্কের করেছেন প্রেসিডেন্ট। সেই সঙ্গে সুলুক নামে আরও একটি শহরের অর্ধেক অংশ তুরস্কের সেনার দখলে চলে এসেছে।

উত্তর সিরিয়ার কুর্দ প্রশাসন আবার আজই জানিয়েছে, আইন ইসা শিবির ছেড়েছে প্রায় সাড়ে ন’শো আইএস জঙ্গি। তুরস্কের বাহিনীর বিরুদ্ধে তারা হামলার ছক কষছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Syria Turkey US United Nations UN
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE