Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
China

সুস্থ থাকতে শরীরে ফলের রসের ইনজেকশন দিলেন মহিলা, তার পর...

চিকিৎসার জন্য আধুনিক পদ্ধতিতে বিশ্বাস নেই তাঁর। প্রাচীন প্রচলিত ঘরোয়া পদ্ধতিই তাঁর পছন্দ রোগ মুক্তির দাওয়াই হিসেবে। কিন্তু সেই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে গিয়েই জীবন বিপন্ন করে বসেছিলেন চিনের এক মহিলা।

নিজের চিকিৎসা নিজেই করলে ডেকে আনতে পারে এমন বিপদ। ছবি: শাটারস্টক

নিজের চিকিৎসা নিজেই করলে ডেকে আনতে পারে এমন বিপদ। ছবি: শাটারস্টক

সংবাদ সংস্থা
বেজিং শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৯ ১১:৫০
Share: Save:

চিকিৎসার জন্য আধুনিক পদ্ধতিতে বিশ্বাস নেই তাঁর। প্রাচীন প্রচলিত ঘরোয়া পদ্ধতিই তাঁর পছন্দ রোগ মুক্তির দাওয়াই হিসেবে। কিন্তু সেই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে গিয়েই জীবন বিপন্ন করে বসেছিলেন চিনের এক মহিলা। ৫১ বছরের ওই মহিলার নাম জেং বলে জানা গিয়েছে।

সংবাদ সূত্রের খবর, জেং মনে করতেন ফলের রস স্বাস্থ্যের জন্য ভাল হলেও সরাসরি রক্তে মিশলে তা আরও ভাল কাজ করতে পারে। তাই প্রায় ২০ ধরনের ফলের রসের একটি মিশ্রণ তৈরি করেন তিনি। পান না করে, সেই ফলের রস সরাসরি সিরিঞ্জের মধ্যে ভরে ইনজেকশন নেন তিনি। কিন্তু তার ফল হয় মারাত্মক। অসম্ভব চুলকানি শুরু হয় সারা গায়ে। মারাত্মক বেড়ে যায় শরীরের তাপমাত্রাও। মৃতপ্রায় অবস্থায় ওই মহিলাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)-এ।

চিনের হুনান প্রদেশের যিয়াংগান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের ডাক্তাররা বলছেন, এর ফলে ওই মহিলার যকৃত, কিডনি, হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুস মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন: ওর নাম নেবো না, বললেন জেসিন্ডা

এই ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় চিনা সামাজিক মাধ্যমে। অনেকেই বলতে থাকেন, চিনে বহু মানুষের কাছেই যে এখনও স্বাস্থ্য রক্ষার নিরাপদ উপায় সম্পর্কে সঠিক তথ্য নেই, এই ঘটনায় তা প্রমাণিত। আধুনিক চিকিৎসার ব্যাপারে মানুষকে আরও বেশি করে জানানোর প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন অনেকে। সদ্য এখন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে নিজের বাড়িতে ফিরে গেছেন জেং।

আরও পড়ুন: দাবা খেলে আমেরিকা জয় করল ৮ বছরের নাইজেরীয় শরণার্থী!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

China Medical Health
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE