Advertisement
১১ মে ২০২৪
WHO

সাবধান না হলেই বিপদ, বার্তা হু-র

একাধিক আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবশ্য দাবি করেছে, নোভেল করোনাভাইরাস পৃথিবী থেকে সহজে নিশ্চিহ্ন হওয়ার নয়।

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সংবাদ সংস্থা
জেনিভা শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২০ ০৪:৫২
Share: Save:

মারণ ভাইরাস আর নেই। নিজেদের ‘করোনা-মুক্ত’ বলে ঘোষণা করেছে প্রশান্ত মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র ফিজি। নিউজ়িল্যান্ডও দিন গুণছে সুখবর দেওয়ার অপেক্ষায়। আর ১ জন মাত্র করোনা-আক্রান্ত রয়েছেন সে দেশে। সেরে ওঠার পথে বহু দেশই। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর সতর্কবাণী, ‘‘যত দিন না পৃথিবী থেকে নির্মূল হচ্ছে এই ভাইরাস, এ যুদ্ধ থামার নয়।’’

একাধিক আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবশ্য দাবি করেছে, নোভেল করোনাভাইরাস পৃথিবী থেকে সহজে নিশ্চিহ্ন হওয়ার নয়। ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় তাই গোটা বিশ্ব। কিন্তু গৃহবন্দি দশায় ধুঁকছে অর্থনীতি। বহু দেশ তাই দূরত্ববিধি বজায় রেখে লকডাউন তুলে দিতে চলেছে।

এ প্রসঙ্গে এক সাংবাদিক বৈঠকে হু-র মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেছেন, ‘‘যে সব দেশ লকডাউন শিথিল করেছে, সেখানেই সংক্রমণ বাড়ছে। কড়াকড়ি কমিয়ে দিলেই সবাই ভেবে নিচ্ছেন, সব কিছু ঠিক হয়ে গিয়েছে!’’

লন্ডনের ওয়াটারলু স্টেশনের বাইরে বড় এক বৈদ্যুতিন ডিসপ্লে বোর্ডে জ্বলজ্বল করছে ক’টা কথা— ‘‘দয়া করে মাস্ক পরুন।’’ কিন্তু ব্রিটেনের জাতীয় সমীক্ষা রিপোর্টই বলছে, লোকজন বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। ২৮ থেকে ৩১ মে সমীক্ষা চলেছে। দশ জনের মধ্যে ৯ জনই জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের বেশি তাঁরা বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন। আর তাঁদের মধ্যে মাত্র ২৮ শতাংশ লোক মাস্ক পরছেন। অথচ ৪০,২৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে ব্রিটেনে। সংক্রমিত ২ লক্ষ ৮১ হাজারের বেশি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শীঘ্রই রাস্তায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করবে ব্রিটিশ সরকার।

ফ্রান্সের বিজ্ঞান উপদেষ্টা বিভাগ অবশ্য জানিয়েছে, তাদের দেশে ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’। সংক্রমণ থামেনি, কিন্তু গতি কম। বাসিন্দারা মাস্ক পরছেন, দূরত্ববিধিও মেনে চলছেন।

এর মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গ-হত্যার প্রতিবাদে আমেরিকার পাশাপাশি লন্ডনেও চলছে বিক্ষোভ-আন্দোলন। লন্ডনের মেয়র সাদিক খান আজ দূরত্ববিধি মেনে চলার আবেদন জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীদের। দেশের শীর্ষ আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আজ সিডনিতে পথে নেমেছিলেন অসংখ্য মানুষ। পারস্পরিক দূরত্ব মানেননি কেউ। বিক্ষোভে উত্তপ্ত আমেরিকায় আজ নতুন করে প্রায় ন’হাজার জন সংক্রমিত হয়েছেন। শুধু এই সপ্তাহে সাড়ে ৪ হাজার লোক মারা গিয়েছেন। গড়ে মৃত্যু— এক দিনে ৮৮৬ জন। মোট মৃত্যু ১ লক্ষ ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। মার্কিন আধিকারিকদের একাংশের দাবি, হঠাৎ করে এ ভাবে মৃত্যু আবার বেড়ে যাওয়ার পিছনে দায়ী দেশ জুড়ে চলা বিক্ষোভই।

মৃত্যুমিছিল বাড়ছে ব্রাজিলেও। মৃতের সংখ্যার নিরিখে ইটালিকে আজ ছাপিয়ে গেল তারা। মোট মৃত্যু ৩৪ হাজার ছাড়াল। গত ২৪ ঘণ্টাতেই শুধু ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ব্রাজিলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

WHO Covid 19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE