প্রতীকী ছবি।
মৃতদেহ কি মর্গে বেঁচে উঠতে পারে? বহুক্ষণ বরফে থাকার পর প্রাণের স্পন্দন জেগে উঠতে পারে? নাকি এটা কোনও ‘ভৌতিক কাণ্ড’?
দুর্ঘটনার সময় গাড়িটা উল্টে দুমড়েমুচড়ে গিয়েছিল। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দুই আরোহী। হাসপাতালে আনা হলে চিকিত্সকেরা তাঁদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে। কিন্তু দুর্ঘটনা তো। ময়নাতদন্ত হবে। তাই শবদেহগুলিকে রাখা হল মর্গের ফ্রিজে।
এর বেশ কিছু পর এক টেকনিশিয়ান এসেছিলেন ময়নাতদন্ত সংক্রান্ত একটা কাজে। সেই সূত্রে মর্গের ট্রে একটু সরাতেই নড়ে উঠল মৃতদেহের পা। যেন শ্বাস নিচ্ছে ওই দেহ! কিছুক্ষণের জন্য আতঙ্কে কাঠ হয়ে গেলেন ওই কর্মী। না, এটা কোনও ‘হরর ফিল্ম’ বা ‘থ্রিলার’ নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে কার্লেটনভিলেতের একটি হাসপাতালের মর্গে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এরপরই ছড়ায় আতঙ্ক।
আরও পড়ুন: গুদামের পাঁচিল চাপা পড়ে মৃত নাবালক, আহত ১, রণক্ষেত্র নিউটাউন
মর্গ থেকে তড়িঘড়ি ওই মহিলার দেহ ফের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ছুটে আসেন চিকিৎসকরা। বারবার পরীক্ষা করে দেখা হয়, হৃদস্পন্দন এবং নাড়ীস্পন্দন। না, বেঁচে নেই ওই মহিলা। এরপরে আবারও মৃত বলে ঘোষণা করা হয় তাঁকে। ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ঘটনাটি নিয়ে এলাকার ডিসট্রেস অ্যালার্ট অপারেশন ম্যানেজার সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ‘‘ফ্রিজ খুলে দেখলাম মৃতদেহের পা নড়ছে। পার্থমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওই মহিলার দেহ ফের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা গেল, তিনি বেঁচে নেই। এই ঘটনার কোনও ব্যাখ্যা নেই আমাদের কাছে।’’ মর্গের ওই কর্মীর কাছে এখনও এই ঘটনা রাতের একটা দুঃস্বপ্নের মতোই।
কিন্তু কী করে সম্ভব হল এই ঘটনা? ফরেনসিক চিকিৎসক চিরঞ্জিৎ সামন্ত বলেন, “এটা ল্যাজারাস সিনড্রোম বলেই মনে হচ্ছে। একজন রোগীর ‘হার্ট বিট’ থেমে গেলে চিকিৎসকরা বহুবার কার্ডিয়াক ম্যাসাজ করেন। সেটি বহুবার পরেও কাজ না করলে মৃত ভেবে চিকিৎসক চেষ্টা বন্ধ করেন। কিছুক্ষণ পর চাপ কমায় হৃদযন্ত্র প্রসারিত হতে থাকে। হার্টের ইলেকট্রিক্যাল অ্যাক্টিভিটি শুরু হয়ে আবার হৃদযন্ত্র সচল হতে পারে। ১৯৮২ সালের পর ৩৮ জন রোগীর ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে, এ ভাবে বেঁচে ওঠা রোগীদের অনেকেই কয়েক মিনিট বা কয়েক দিন পরে মারা গিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy