প্রীতি মাহেশ্বরী। ছবি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।
চিনের প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন প্রীতি মাহেশ্বরী নামের এক ভারতীয় মহিলা। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে তিনি চিনের হাসপাতালে ভর্তি। কিন্তু চিনের পাবলিক হেলথ স্কিমের সুবিধা না পাওয়ায়, চিকিৎসার খরচ মেটাতে আতান্তরে পড়েছে ওই ভারতীয় পরিবার। প্রীতির চিকিৎসার খরচ মেটাতে তাঁর ভাই চাইছেন ক্রাউড ফান্ডিং।
চিনের শেনজেনে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিকে শিক্ষকতা করেন প্রীতি। গত ১১ জানুয়ারি নিউমোনিয়া ও মাল্টিপল অর্গান ডিসফাংশন সিনড্রোমে আক্রান্ত হন তিনি। প্রীতি প্রথম ভারতীয় যিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। শেনজেনের শেকোউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
সেই হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসার খরচ দাঁড়িয়েছে ১০ লক্ষ ইয়ান। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় এক কোটি টাকা। কিন্ত চিনের পাবলিক হেলথ স্কিমের সুবিধা না পাওয়ায় ওই চিকিৎসার খরচ মেটাতে পারছেন না। সে জন্যই প্রীতির ভাই, বেঙ্গালুরুতে একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী মণীশ দ্বারস্থ হয়েছেন বেজিংয়ে ভারতীয় দূতাবাসের। পাশাপাশি ভারতের একটি ক্রাউড ফান্ডিং সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: চিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮০, বন্ধ অফিস, ভাইরাস আতঙ্কে নববর্ষের ছুটি বাড়াল সরকার
মণীশ এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘চিনে গুরুতর অসুস্থ প্রীতি। কিন্তু তাঁর চিকিৎসার খরচ চালানোর মতো সামর্থ্য আমাদের নেই। তাই ক্রাউড ফান্ডিং চাইছি।’’ ক্রাউড ফান্ডিং সংস্থার মাধ্যমে গত চারদিনে উঠেছে ১৬ লক্ষ টাকার মতো। জানা গিয়েছে চিকিৎসায় আস্তে আস্তে সাড়া দিচ্ছেন প্রীতি। কিন্তু চিকিৎসার খরচ মেটাতে তাই সাধারণের দিকেই তাকিয়ে তাঁর পরিবার।
আরও পড়ুন: ৮৩ যাত্রী-সহ আফগানিস্তানের গজনিতে ভেঙে পড়ল বিমান
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy