প্রতীকী ছবি
কোভিড-১৯ সংক্রমণে গোটা বিশ্বে এখন এক কোটিরও বেশি মানুষ আক্রান্ত। এখনও কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এর মধ্যেই চোখ রাঙাচ্ছে আরও একটি ভাইরাস, যার সংক্রমণও ভবিষ্যতে অতিমারির চেহারা নিতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা। করোনাভাইরাসের মতো এটিরও উৎস সেই চিন। নাম জি-৪ ভাইরাস। এইচ১এন১ সোয়াইন ফ্লু-র সঙ্গে জিনগত মিল রয়েছে এই ভাইরাসটির।
‘প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস’ নামে একটি পত্রিকায় সম্প্রতি জি-৪ নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তার পরেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। চিন-সহ নানা দেশের বিজ্ঞানীরা বলছেন, সোয়াইন ফ্লু-র মতোই এটি শূকর থেকে মানবদেহে ছড়ায়। তবে মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফলে অতিমারির আকার নিলেও কোভিড-১৯-এর চেয়ে তার ব্যাপ্তি কম হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লু-তে কয়েক লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, জি-৪ কোনও নতুন ভাইরাস নয়। কয়েক বছর ধরেই চিনের বিভিন্ন খামারের শূকরের মধ্যে এর উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। চিনের শানডং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় ইনফ্লুয়েঞ্জা সেন্টারের গবেষকেরা ২০১১ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে মোট ১০টি প্রদেশের পশু খামার ও হাসপাতাল থেকে মোট ৩০ হাজার শূকরের লালারস পরীক্ষা করে ১৭৯ রকমের ভাইরাসের অস্তিত্ব পান। সব ক’টিই মারাত্মক নয়। ব্যতিক্রম শুধু জি-৪। সম্প্রতি চিনের দু’টি প্রদেশে শূকর থেকে মানুষের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বিজ্ঞানীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অ্যাঞ্জেলা রাসমুসেন যদিও আশ্বাস দিচ্ছেন, ‘‘এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।’’ কিন্তু যে হারে চিনে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে এখন থেকে সাবধান হওয়ার পরামর্শটা দিয়েই রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy