—প্রতীকী ছবি।
আমেরিকায় ‘ওয়ার্ক ভিসা’ নিয়ে আসা অভিবাসীদের সংখ্যা বিভিন্ন দেশের জন্য বেঁধে দেওয়া ছিল এতদিন। যে নিয়ম এ বার থেকে বাতিল হল। পাশাপাশি বাড়ানো হতে চলেছে পারিবারিক ভিসার সংখ্যাও। গত বুধবার সর্বসম্মতিক্রমে এই সংক্রান্ত একটি বিল পাশ হয়ে গিয়েছে সে দেশের সেনেটে। যা আমেরিকায় কর্মরত ভারতীয়, বিশেষ করে এইচ-১বি ভিসা নিয়ে সে-দেশে পাড়ি দেওয়া তথ্য প্রযুক্তি কর্মীদের জন্য বড় সুখবর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকায় নাগরিকত্বের ভিত্তিতে ভেদাভেদের পর্বে ইতি টানবে সেনেটে পাশ হওয়া এই ‘ফেয়ারনেস ফর হাই-স্কিলড ইমিগ্রেন্টস অ্যাক্ট’। মোট ভিসার নিরিখে কাজের ভিসার ক্ষেত্রে বছরে ৭% অভিবাসীদের জন্য বরাদ্দ ছিল আগে, যা বাড়িয়ে মোট ভিসার ১৫% হবে এ বার থেকে। বিদেশিদের গ্রিন কার্ড পাওয়ার বিষয়েও এই বদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে এই সংক্রান্ত ১০ লক্ষেরও বেশি আবেদন নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়া বাকি। তালিকায় রয়েছেন হাজার হাজার ভারতীয়ও। এই বিল মেধার ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগের বড় সুযোগ দেবে আমেরিকার সংস্থাগুলিকে, বক্তব্য সেনেটর মাইক লি-র। প্রথম বিলটির প্রস্তাব এনেছিলেন তিনিই।
এই বিল অনুযায়ী, কাজ সংক্রান্ত ভিসার ৭০% বরাদ্দ থাকবে এইচ-১বি-র জন্য। তবে ভিসাটির আবেদনের খরচ কিছুটা বাড়ল। এইচ-১বি নিয়ে প্রতারণা সংক্রান্ত তদন্তে ওই অর্থ ব্যবহৃত হবে। তা ছাড়া, অসংরক্ষিত ভিসার ক্ষেত্রে কোনও দেশকে মোটের ৮৫ শতাংশের বেশি দেওয়া হবে না বলেও জানানো হয়েছে।
এ দিকে, মোটা বেতনের একাধিক পদের জন্য অভিবাসীদের বেছে নিয়েছে ফেসবুক। ইচ্ছে করে বঞ্চিত করা হয়েছে আমেরিকানদের— এই মর্মে সংস্থার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হল ট্রাম্প প্রশাসন। অভিযোগপত্রে ২০১৮-র জানুয়ারি থেকে ২০১৯-এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কমপক্ষে ২৬০০টি পদের উল্লেখ করা হয়েছে, বছরে যেগুলির বেতন গড়ে ১,৫৬,০০০ ডলার। সরকারি আইনজীবীর কথায়, ‘‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে দেশের যোগ্য আবেদনকারীদের বদলে পদগুলিতে অস্থায়ী ভিসায় আসা অভিবাসীদের প্রাধান্য দিয়েছে ফেসবুক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy