শাহ মেহমুদ কুরেশি। ছবি: রয়টার্স।
রাষ্ট্রপুঞ্জে কাশ্মীর নিয়ে ভারতকে বিঁধতে রাহুল গাঁধী, ওমর আবদুল্লার বিবৃতিকে অস্ত্র করল পাকিস্তান। তা নিয়ে দেশের রাজনীতিতে কংগ্রেস নেতৃত্বকে নিশানা করল বিজেপি।
আজ রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদে পাকিস্তান জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে। তার প্রমাণ দিতে তৈরি নথি বা ডসিয়ারের প্রথম পৃষ্ঠাতেই রাহুল ও ওমরের বিবৃতিকে তুলে ধরেছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের ২০ দিন পরে রাহুল বিরোধী নেতাদের নিয়ে শ্রীনগর যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বাধা পেয়ে ফিরে আসায় তিনি টুইট করেছিলেন, জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার খর্ব হচ্ছে। কাশ্মীরের মানুষের উপর যে দানবীয় প্রশাসন ও কঠোর বাহিনীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, শ্রীনগর যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে বিরোধী নেতা, সংবাদমাধ্যমও তার স্বাদ পেয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের এক তরফা সিদ্ধান্তের বিপজ্জনক ও দূরগামী প্রভাব রয়েছে। এটা কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন। ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের সিদ্ধান্ত একতরফা, বেআইনি ও অসাংবিধানিক। এই দু’টি মন্তব্যই তুলে ধরেছে পাকিস্তান।
ওই নথি পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হতেই বিজেপি নেতারা রাহুল তথা কংগ্রেসকে নিশানা করতে শুরু করেন। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘‘কংগ্রেস নেতাদের উচিত মন্তব্য করার আগে দলের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করা। এত পুরনো একটি দল। আর সেই দলের নেতাদের মন্তব্য পাকিস্তানকে সাহায্য করছে।’’ রাহুলের মন্তব্যকে আগেও পাকিস্তান কাজে লাগাতে চেয়েছিল। সে সময় রাহুল নিজেই বলেছিলেন, সরকারের সঙ্গে মতভেদ থাকলেও কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। পাকিস্তানের তাতে নাক গলানোর কোনও অধিকার নেই। পাকিস্তান মদত করছে বলেই জম্মু-কাশ্মীরে হিংসা রয়েছে। আজ কংগ্রেস মুখপাত্র রাগিণী নায়ক বলেন, দেশের একটি অংশের মানুষের সমস্যা হলে বিরোধীরা সরব হবেনই। কিন্তু পাকিস্তান তাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে হাতিয়ার করতে চাইলে কংগ্রেস কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে রয়েছে। পাকিস্তানের মিথ্যে খোলসা করে দেওয়াটা সরকারের দায়িত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy