পুলওয়ামায় হামলার পর এমন পদক্ষেপ কেন্দ্রের। ছবি: রয়টার্স।
ভারতে বিভিন্ন জঙ্গি হানার পরে বরাবর যা বলে এসেছে পাকিস্তান, পুলওয়ামা হামলার পরে সে কথাই শোনাল তারা। পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মামুদ কুরেশি আজ এক টুইট করেছেন। বক্তব্য, পুলওয়ামা কাণ্ডে পাক ইন্ধন সংক্রান্ত কোনও তথ্য-প্রমাণ ভাগ করে নিলে তদন্তে পূর্ণ সহায়তা করা হবে। কিন্তু তা না করে পাকিস্তানকে একতরফা দুষে বা চোখ রাঙিয়ে কোনও লাভ হবে না। গোটা বিশ্বও তা মানবে না। সাউথ ব্লকের বক্তব্য, যত বারই জঙ্গি হানায় পাক যোগের তথ্য বা নথি দেওয়া হয়েছে, তাতে আমল দেয়নি পাকিস্তান। পদক্ষেপ করেনি সেগুলির ভিত্তিতে। এ বারেও সে পথে হেঁটে কাজ হবে বলে মনে করা যাচ্ছে না।
কুরেশির সুরে পাক তথ্য মন্ত্রী ফওয়াদ চৌধরিও একটি ভারতীয় চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘যে কোনও বিষয়ে পাকিস্তানের উপর দোষ চাপানো ঠিক নয়। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করাটাই আমাদের লক্ষ্য।’’ মাসুদ আজহারকে নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি। জইশ-ই-মহম্মদ সম্পর্কে আওড়ছেন পুরনো কাটা রেকর্ড, ‘‘জইশ তো নিষিদ্ধ সংগঠন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং যা করার করা হবে।’’ তবে অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে নয়াদিল্লি মনে করছে, এ সব নেহাতই কথার কথা। তিন বছর আগে পাঠানকোটের সেনা ছাউনিতে হামলার পর তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ প্রকাশ্যেই জইশ নেতা মাসুদ আজহারকে গ্রেফতার করার কথা বলেছিলেন। বাস্তবে আইএসআইয়ের নিরাপদ আশ্রয়ে কিছু দিন গৃহবন্দি রাখা ছাড়া আর কিছুই হয়নি। তার পর থেকে সে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে পাকিস্তানে। ভারতকে ‘ধ্বংস’ করার হুমকি দিয়ে চলেছে প্রকাশ্য সভায়।
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সখ্যও গোপন কোনও বিষয় নয়। ভোটে খোলাখুলি ভাবে ইমরানের দল পিটিআই-এর হয়ে প্রচার করেছিল মাসুদ। তাই পুলওয়ামা কাণ্ডের পর পরিস্থিতি নিজে থেকে বদলে যাবে, এমনটা আশা করছে না সাউথ ব্লক।
আরও পড়ুন: পাক সফর কাটছাঁট সৌদি যুবরাজের
পাক বিদেশমন্ত্রী অবশ্য আজ জইশের নামও নেননি। লিখেছেন, ‘‘পাকিস্তানের ঘাড়ে দোষ দিয়ে দেওয়া সোজা। কিন্তু তাতে সমস্যার সমাধান হয় না। আমরা জানি কী ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হয়। গোটা বিশ্বে নিজেদের মতামত আমরাও তুলে ধরতে পারি। আমরা শান্তির বার্তাই দেব। সংঘাতের নয়।’’
আরও পড়ুন: মিলল দায়সারা মার্কিন আশ্বাস, প্রশ্ন দ্বিচারিতার
তীব্র আর্থিক সঙ্কট সামলাতে ব্যস্ত ইমরান সরকার যে এই মূহূর্তে ভারতের সঙ্গে বড় রকমের সংঘাতে যেতে চায় না, এমন ইঙ্গিত রয়েছে কুরেশির টুইটে। লিখেছেন, ‘‘ভারতের কাছে তথ্য-প্রমাণ থাকলে ভাগ করে নেওয়া উচিত। সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি আমরা সহযোগিতা করব। কারণ আমরা ঝামেলা চাই না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy