রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবর উদ্দিন। —ফাইল চিত্র
সন্ত্রাসে অর্থ যোগানের বিরুদ্ধে এই প্রথম কড়া বার্তা দিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। ফ্রান্সের তৈরি প্রস্তাবের খসড়ায় সিলমোহর দিল রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ। সদস্য দেশগুলিকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নির্দেশ, সন্ত্রাসে সরাসরি অর্থ দেওয়া বা অর্থনৈতিক সাহায্য করার বিরুদ্ধে কঠোর আইন তৈরি করতে হবে, যাতে এই প্রচেষ্টাকে ‘মারাত্মক ফৌজদারি অপরাধ’ হিসেবে গণ্য করা এবং উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা যায়।
নিরাপত্তা পরিষদের এই প্রস্তাবকে সমর্থন জানানোর পাশাপাশি পাশ হওয়ার পরই স্বাগত জানিয়েছে ভারত। একই সঙ্গে নাম না করেও পাকিস্তানকে ‘ধারবাহিক অপরাধী’ বলে উল্লেখ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরউদ্দিন। সন্ত্রাসে অর্থ জোগানের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ ও তদন্তের কাজ করে নিরাপত্তা পরিষেদর ফাইনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ। আকবরউদ্দিন বলেন, টাস্ক ফোর্স এবার নয়া এই প্রস্তাব অনুসারে বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশের উপর চাপ তৈরি করতে পারবে কড়া আইন প্রণয়নের জন্য।
সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার পাশাপাশি অর্থের জোগান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে রাষ্ট্রপুঞ্জের সন্ত্রাস দমন বিষয়ক সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সংস্থা নিরাপত্তা পরিষদ। আবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতও গোড়া থেকেই এই অভিযোগ করে আসছে। জইশ-ই-মহম্মদের, লস্কর-ই-তইবার মতো জঙ্গি সংগঠনকে পাক সরকার যে কার্যত আর্থিক এবং অন্যান্য সব রকম সাহায্য করে, তাও বহুবার রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরেছে ভারত। কিন্তু এ পর্যন্ত জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্যের পাইপ লাইন বন্ধ করা কার্যত সম্ভব হয়নি। সে ভাবে দেখতে গেলে এই প্রথম বড় পদক্ষেপ করল রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ।
New milestone adopted by @UN to Counter Terrorist Financing.
— Syed Akbaruddin (@AkbaruddinIndia) March 29, 2019
Unfortunately, States who are apologists for terrorists will continue to provide alibis to justify their actions & inaction too - @IndiaUNNewYork
https://t.co/OeupspHS38#zerotoleranceforTerror#NoMoneyforTerror pic.twitter.com/vRNHdi86ku
আরও পড়ুন: উদ্ধার মার্কিন স্নাইপার, অ্যাসল্ট রাইফেল, কাশ্মীরে দুই জইশ-সহ ৬ জঙ্গিকে খতম করল সেনা
আরও পডু়ন: ভয়াবহ চাকরি বাজারের ছবি ধরা পড়ল অক্সফ্যামের সমীক্ষায়
কিন্তু এর পরও পাকিস্তান সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করবে। সন্দেহটা কাটছে না। এবং সেই আশঙ্কাই উঠে এসেছে আকবরউদ্দিনের কথায়। রাষ্ট্রপুঞ্জে তিনি বলেছেন, ‘‘এর পরও সন্ত্রাসবাদীরা নতুন নতুন কৌশলের মাধ্যমে অর্থ জোগাড়ের চেষ্টা করে আইন ভাঙবে। যে সব রাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদীদের কাছে হাত জোড় করে থাকে, তারা নিজেদের সক্রিয়তা বা নিষ্ক্রিয়তার অজুহাত খুঁজতে থাকবে। যা ধারাবাহিক অপরাধী দেশগুলি যা আগেও করে এসেছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটাই সত্যি।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ভারতীয় কূটনীতিকের তির যে প্রতিবেশী পাকিস্তানের দিকেই ছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একইসঙ্গে আকবরউদ্দিন বলেছেন, শুধু আইন প্রণয়ন নয়, জঙ্গিদের অর্থের জোগান রুখতে এই আইন সব দেশ কঠোর ভাবে কার্যকরী করছে কি না, সে দিকেও কড়া নজর রাখা দরকার নিরাপত্তা পরিষদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy