Advertisement
E-Paper

দিনভর গ্লাস মেপে জল খাওয়ায় অনীহা! ৫ পানীয়ে চুমুক দিলে জলের ঘাটতি মিটবে, মেদ গলবে দ্রুত হারে

ওজন কমাতে চান অথচ সারা দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া হয় না? মেদ ঝরাতে গেলে এই অভ্যাস অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। শুধু জল ভাল না লাগলে চুমুক দিন ৫ পানীয়ে। এতে শরীর ভাল থাকবে, ওজন কমবে দ্রুত।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫ ২০:০২
ওজন কমাতে এবং শরীরে জলশূন্যতা কমাতে চুমুক দেবেন কোন পানীয়ে?

ওজন কমাতে এবং শরীরে জলশূন্যতা কমাতে চুমুক দেবেন কোন পানীয়ে?

ওজন কমাতে পুষ্টিবিদের কথামতো মেপে খাবার খাচ্ছেন, জিমে গিয়ে শরীরচর্চাও করছেন। কিন্তু নিয়ম করে জল খেতেই যত অনীহা! দ্রুত বাড়ছে গরম। এমন সময় পর্যাপ্ত জল না খেলে জলের ঘাটতি দেখা দিতেই পারে। জলশূন্যতা হলে যেমন শরীর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে, তেমনই ওজন কমার প্রক্রিয়াও থমকে যেতে পারে। পুষ্টিবিদ নমামি আগরওয়াল বলছেন, ‘‘ওজন কমাতে চাইলে কম জল খাওয়ার প্রবণতা অত্যন্ত ক্ষতিকর। এতে বিপাকহার কমে যায়। তার উপর রকমারি খাবার খাওয়ার প্রবণতা ওজন কমানোর পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। ’’

তবে যদি শুধু জল খেতে ভাল না লাগে, বেছে নিতে পারেন ৫ পানীয়। সারা দিনে নিয়ম করে পছন্দের কোনও একটি চুমুক দিতেই পারেন। নিয়ম মেনে ডায়েট এবং শরীরচর্চার পাশাপাশি এই পানীয় দ্রুত মেদ গলাতে সাহায্য করবে।

আপেল দারচিনির পানীয়: শুধু ভিটামিন, খনিজ নয় আপেলে রয়েছে যথেষ্ট ফাইবার। ফাইবার একদিকে যেমন পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে তেমনই হজমক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়ক। ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। দারিচিনিও পেটের জন্য ভাল। মেদ গলাতে দারচিনি চা খাওয়ার চল রয়েছে। আপেল এবং দারচিনির মিশ্রণে তৈরি পানীয় শুধু জলের অভাব দূর করবে না, শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাবে। ওজন কমাতেও সাহায্য করবে। দু’কাপ জলে একটি আপেল টুকরো করে কেটে ফুটিয়ে নিন। দিয়ে দিন দারচিনির টুকরো। আঁচ কমিয়ে ফুটতে দিন। ঠান্ডা হলে ছেঁকে নিন। বরফ টুকরো দিয়েও এই পানীয় খাওয়া যায়।

গ্রিন টি: গ্রিন টি-এর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ভাল। গ্রিন টি বিপাকহার বৃদ্ধি করে ওজন কমাতে সাহায্য করে। মেদ ঝরানোর জন্য শরীরচর্চা, ডায়েট যেমন জরুরি, তেমন এই প্রক্রিয়ায় অনুঘটকের মতো কাজ করে গ্রিন টি। তবে গ্রিন টি খেতে হবে দিনে এক থেকে দু’বার। এর চেয়ে বেশি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।

অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার: এক কাপ জলে ১ চা-চামচ অ্যাপেল সাউডার ভিনিগার মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেলে খিদে কমে। তা ছাড়া এই পানীয় বিপাকহার বৃদ্ধিতেও সহায়ক। হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে এটি। যা পরোক্ষে ওজন কমাতে সহায়ক হয়। তবে সবসময়ই এটি জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। কেউ কেউ এটি ডি-টক্স পানীয় হিসাবে ব্যবহার করেন। দিনে দু’বার এটি খাওয়া যায়। তার বেশি নয়।

শসা পুদিনার জল: গরমে ঘেমেনেয়ে গেলে শসা এবং পুদিনার জলে চুমুক দিন। এতে যেমন শরীর ঠান্ডা হবে, তেমনই ওজন ঝরাতেও সাহায্য করবে পানীয়টি। শসার সিংহভাগই জল। এতে ক্যালোরির পরিমাণ যৎসামান্য। পুদিনাপাতা ভিটামিনে ভরপুর পাশাপাশি এটি হজমেও সহায়ক।

চিয়া ভেজানো জল: তালিকায় রাখতে পারেন চিয়া বীজ ভেজানো জল। সকালে উঠে এক গ্লাস খেয়ে নিলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকবে। চিয়া বীজে রয়েছে ফাইবার এবং জরুরি খনিজ। ফাইবার খাবার হজমে সাহায্য করে। মেদ কমাতেও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ডায়েটে রাখতে বলেন পুষ্টিবিদেরা।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy