কোমরের যন্ত্রণা থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পেতে গেলে আগে যন্ত্রণার উৎস খুঁজে বার করতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
একটানা দাঁড়িয়ে কিংবা বসে থেকে কোমরে ব্যথা হচ্ছে। অনেক সময়ে বিছানায় শোয়ার দোষেও পিঠ-কোমরে ব্যথা হতে পারে। সারা রাত ঘুমোনোর পরও সেই ব্যথা কমে না। চিকিৎসকেরা বলেন, বয়সজনিত কারণেও এই ব্যথা হতে পারে। আবার, চোট বা আঘাত লাগলেও এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। ব্যথার ওষুধ, গরম জলের সেঁক দিয়ে ব্যথা না কমলে শেষমেশ ইঞ্জেকশন পর্যন্ত দৌড়তে হয়। যে সব স্নায়ু থেকে ব্যথার সঞ্চার হচ্ছে, সেগুলিকে ব্লক করে দেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু তা বেশ ব্যয়সাপেক্ষ এবং তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। তবে কোমরের যন্ত্রণা থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পেতে গেলে আগে যন্ত্রণার উৎস খুঁজে বার করতে হবে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, কোমরে ব্যথার একাধিক কারণ থাকতে পারে। উঁচু থেকে পড়ে যাওয়া, পেশির ব্যথা, মেরুদণ্ডের ডিস্কে চোট কিংবা সাইটিকা, অস্টিয়োপোরোসিসের মতো রোগ থেকেও কোমরে তীব্র যন্ত্রণা হতে পারে। শরীরচর্চা করার ভুলেও কিন্তু কোমরের পেশিতে চোট লাগতে পারে। এই ধরনের ব্যথা সাধারণত ৮ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। তবে তার চেয়ে বেশি দিন পর্যন্ত স্থায়ী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
কোমরের ব্যথা নিরাময়ে ওষুধ, ইঞ্জেকশন— যা-ই করুন না কেন, তার মেয়াদ বেশি ক্ষণ থাকে না। ওষুধের কার্যক্ষমতা কমলেই ব্যথা ফিরে আসতে পারে। তাই ব্যথা কমলে হালকা ব্যায়াম বা আসনের মাধ্যমে দেহের কাঠামোর ভারসাম্য রক্ষা করতে হয়। প্রয়োজনে ফিজিয়োথেরাপির সাহায্য নিতে হয়। পাশাপাশি, জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনতে পারলেও ভাল হয়। একটানা বসে বা দাঁড়িয়ে কাজ করা, কিংবা দীর্ঘ ক্ষণ ভুল ভঙ্গিতে বসে-শুয়ে থাকার অভ্যাস একবারেই ত্যাগ করতে হবে। বিছানার গদি যদি খুব নরম হয়, সে ক্ষেত্রে তা-ও পাল্টে ফেলতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy