বাড়ছে দূষণ। রোদের তাপ, ধুলো, ধোঁয়া থেকে চুলকে রক্ষা করার জন্য এখন আর শুধু মাথায় তেলে মেখে স্নান করা বা শ্যাম্পু-কন্ডিশনার ব্যবহার করাই যথেষ্ট নয়। চুল সুন্দর, মসৃণ দেখানোর জন্য দরকার হয় সিরামেরও।
ত্বকের সিরাম যেমন গভীর ভাবে ত্বকের যত্ন নেয়, সিরামও তাই। রুক্ষ চুলকে মসৃণ দেখাতে, জট এড়াতে সাহায্য করে সিরাম। ক্ষেত্র বিশেষে চুলের যত্নও নেয়।সিরাম চুলের উপরিভাগে একটি পাতলা আবরণ তৈরি করে, যা চুলকে মসৃণ করে এবং আর্দ্রতার কারণে চুল উসকো-খুসকো হয়ে যায় না।চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল দেখায়। চুলকে নরম ও মসৃণ করে, ফলে সহজেই জট ছাড়ানো যায় এবং চুল ছিঁড়ে যাওয়া বা ভেঙে যাওয়া কমে। সিরাম চুলকে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি, দূষণ, ধুলো থেকে বাঁচায়।
আরও পড়ুন:
সিরাম ব্যবহারের কিছু নিয়ম আছে। সেগুলি সঠিক ভাবে না মানলে কাঙ্খিত লক্ষ্যপূরণ সম্ভব নয়।
১। সিরাম সব সময় শুকনো চুলে ব্যবহার করা দরকার। শ্যাম্পু করার পরে কন্ডিশনার দিতে হবে। চুল ধুয়ে নিয়ে তা শুকিয়ে গেলে সিরাম হাতে নিয়ে চুলে লাগিয়ে নিন।
২। চুলের ধরন অনুযায়ী সিরাম বাছাই জরুরি। কোনও প্রসাধনী সম্পর্কে লোকজন ভাল বললেই, সেটি কিনে ফেলার প্রবণতা থাকে। তবে শুষ্ক, তৈলাক্ত চুলের জন্য সিরামের উপকরণ আলদা হওয়া দরকার।আর্গান অয়েল, শিয়া বাটার যুক্ত সিরাম শুষ্ক চুলের জন্য উপযোগী। কোঁকড়া চুলের জন্য গ্লিসারিন, নারকেল তেল ভাল।
৩। অপরিচ্ছন্ন চুল এবং অনেকটা সিরাম ব্যবহার— কোনওটাই ঠিক নয়। অতিরিক্ত সিরাম মাখলে চুল চটচটে হয়ে যাবে। ধুলো-ময়লা আটকে যাবে বেশি করে। তা ছাড়া, অপরিষ্কার মাথাতেও সিরাম ব্যবহার অনুচিত।
৪। সিরাম ব্যবহার করলে তার ধারাবাহিকতা থাকা দরকার। একদিন ব্যবহারের পর ১৫ দিন পর তা মাখলে কাজ হবে না। বরং তা নিয়মিত ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বিশেষত রুক্ষ বা উসকো-খুসকো চুলের সমস্যায় সিরাম বিশেষ কার্যকর।
৫। সিরাম মাথার ত্বকে নয়, ব্যবহার করতে হয় চুলে। চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত যেন সেটি লাগে তা দেখতে হবে। বেশি ঘষে না লাগিয়ে হালকা করে মাসাজ করে নেওয়া ভাল।