শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতিতেই নজরকাড়তে হবে। প্রতীকী ছবি।
ঘর এবং বাইরে- সবটা একা হাতে সামলাতে গিয়ে পুজোর আগে অনেকেই নিজের যত্ন নেওয়ার সময় পাননি। এ দিকে ক্যালেন্ডারের পাতা বলছে পুজোর বাকি আর মাত্র ৯ দিন। ফলে হাতে আর সময় নেই। শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতিতেই নজরকাড়তে হবে। পার্লারগুলিতেও পা ফেলার জায়গা নেই। ফলে ভরসা ঘরোয়া উপায়। পদ্ধতি যদি ঠিক হয় ঘরোয়া উপায়েই ত্বকে আসবে উৎসবের জেল্লা। কম খরচে পুজোর আগে কী ভাবে পাবেন ঝলমলে ত্বক?
১) চিনির স্ক্রাবার ব্যবহার করুন: ত্বক ভাল রাখতে রোজকার রূপরুটিনের অন্যতম অঙ্গ হল এক্সফোলিয়েশন। মৃত কোষ দূর করে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সপ্তাহে অন্তত দু’দিন স্ক্রাব করা প্রয়োজন। চিনি শরীরের জন্য ক্ষতিকর হলেও স্ক্রাবার হিসাবে দারুণ কাজ করে। বাদামি চিনির সঙ্গে মধু মিশিয়ে সপ্তাহে দু’দিন ব্যবহার করুন। ত্বকের মরা চামড়া দূর হয়ে ত্বকে হয়ে উঠবে কোমল ও মসৃণ।
২) অ্যালোভেরা জেল: চড়া রোদে বাইরে গেলে সূর্যের তাপে ত্বক পুড়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। ত্বকে ট্যান হয়ে যাওয়ার ভয়ে বাড়ি বসে থাকা যায় না। সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। তাই সানবার্ন আটকাতে ব্যবহার করুন সানস্ক্রিন। এ ছাড়াও ঘরোয়া উপায়ে সানবার্ন তুলতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। অল্প জেল নিয়ে ত্বকে ভাল করে মাসাজ করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন। এতে ত্বক ভিতর থেকে ঠান্ডা থাকবে।
৩) টম্যাটো ও দইয়ের প্যাক ব্যবহার করুন: কাজের প্রয়োজনে বাইরে বেরোতেই হচ্ছে। সানস্ক্রিন ব্যবহার করার পরেও ট্যান হচ্ছে ত্বক। চটজলদি ত্বকের ট্যান তুলতে আপনার ভরসা হতে পারে টম্যাটো ও দইয়ের ফেসপ্যাক। এই দুটি উপাদানেই রয়েছে ভিটামিন সি। ত্বকের যত্নে ভিটামিন সি-এর জুড়ি মেলা ভার। টম্যাটোর রস ও টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে মাস্কের মতো মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধ ঘণ্টা রেখে শুকিয়ে এলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে অসাধারণ কাজ করে এই ফেসপ্যাকটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy