বাড়ি ফিরে ক্লান্ত, বিধ্বস্ত শরীরে কোনও দিকে তাকানোর ক্ষমতা থাকে না। ধরে ধরে ত্বকের যত্ন নেওয়া দূর, এক এক দিন তো ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতেও ইচ্ছে করে না। কিন্তু বয়স তো কমছে না। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তার ছাপ ফুটে উঠবে মুখে। প্রতি মাসে সালোঁয় যাওয়া সম্ভব না হলেও ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিন্তু ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়। রূপচর্চা শিল্পীরা বলছেন, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মাত্র পাঁচ মিনিট ব্যয় করলেই উপকার মিলবে। কিন্তু এই পাঁচ মিনিটে কী কী করবেন?
· প্রথমে মাইল্ড কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
· তার পর ত্বকের ধরন বুঝে মেখে ফেলুন টোনার।
· ক্লিনজ়িং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজ়িং, অর্থাৎ ‘সিটিএম’-এর নিয়ম মেনে সবশেষে ময়েশ্চারাইজ়ার মাখতে হয়। রূপচর্চা শিল্পীরা বলছেন, এই পর্যায়ে ময়েশ্চারাইজ়ারের বদলে মাখতে পারেন নারকেল তেল।
· নারকেল তেল দিয়ে মিনিট দুয়েক মুখে মাসাজ করুন। ত্বক যদি শুষ্ক হয়, তা হলে সারা রাত ওই ভাবে মুখে তেল রেখে দিতে পারেন।
· ত্বক তৈলাক্ত হলে মাসাজ করার পর অতিরিক্ত তেল ভিজে সুতির কাপড় বা ওয়েট টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন।
আরও পড়ুন:
নারকেল তেলের মধ্যে কী এমন আছে?
নারকেল তেল সাধারণত চুলেই মাখা হয়। তবে এর মধ্যে যে পরিমাণ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, তা ত্বকে কোলাজেন উৎপাদনে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। ফলে বলিরেখা তো পড়েই না, উল্টে মুখের টান টান ভাব বজায় থাকে। এ ছাড়া ত্বকের প্রয়োজনীয় নানা ধরনের ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে নারকেল তেলে। এগুলি নিষ্প্রাণ ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরিয়ে দিতে পারে।
মুখে নারকেল তেল মাসাজ করলে কী হবে?
১) ত্বকের জেল্লা বজায় রাখবে নারকেল তেল। নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে সঠিক পদ্ধতিতে মুখে মাসাজ করতে পারলে জেল্লা বৃদ্ধি পাবে। লিম্পফ্যাটিক ড্রেনেজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুখের জমে থাকা ফ্লুইড বার করে দেওয়া যায়।
২) যে হেতু নারকেল তেলে ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, তাই ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা সহজ হয়। ত্বকের যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতি পূরণ হয় রাতে। তাই হালকা গরম তেল মুখে মাসাজ করলে উপকার মিলবে।
৩) অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল উপাদান রয়েছে নারকেল তেলে, যার মাধ্যমে ত্বকে জমে থাকা টক্সিন দূর হয়ে যায়। ওপেন পোর্সের সমস্যাও ধীরে ধীরে কমে আসে।