‘গ্লসি লুক’ এবং ‘ম্যাট ফিনিশ লুক’-এর মধ্যে দ্বন্দ্ব চিরকালের। কারও পছন্দ চকচকে, ঝলমলে চেহারা, কারও বা মসৃণ ভেলভেটের মতো ত্বক, যেখানে চকচক করার মতো কোনও পণ্য ব্যবহৃত হয় না। গত বেশ কয়েক দশক ম্যাট লুকের জনপ্রিয়তার পর ফের গ্লসি মেকআপের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু এখনকার ঝলমলে মেকআপের সঙ্গে পুরনো দিনের চকচকে মেকআপের পার্থক্য রয়েছে। যেখানে চকচকে মেকআপ আর চোখে ধাঁধাবে না। মেকআপের রঙে প্রতিফলন ঘটবে না, বরং উজ্জ্বল দেখাবে। আর তার জন্য কয়েকটি সামগ্রীর সন্ধান দেওয়া হল, যেগুলি উজ্জ্বল মেকআপের মূলমন্ত্র হয়ে উঠতে পারে।
১. প্রথমে মেকআপের আগের ধাপগুলি জেনে নেওয়া দরকার:
ক্লিনজ়ার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর টোনার, সিরাম, ময়েশ্চারাইজ়ার, এসপিএফ-এর উপর মেকআপ শুরু হবে। যে কোনও ক্লিনজ়ার আর টোনার ব্যবহার করা যেতে পারে। তার পরের ধাপ থেকে নতুন নতুন সামগ্রীর সন্ধান দেওয়া হল।
হলিউড তারকা হেইলি বিবারের মতো মেকআপ চান? ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ওয়াটারমেলন গ্লো সিরাম: নিয়াসিনামাইড এবং তরমুজের নির্যাসে বানানো এই সিরাম। এমন মেকআপের বেস হিসেবে উপযুক্ত।
ময়েশ্চারাইজ়ার: হালকা এই ময়েশ্চারাইজ়ার ত্বকে আনে আর্দ্রতা। পাশাপাশি, সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকেও ত্বককে রক্ষা করতে পারবে। তেলচিটে ভাব না এনে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াবে। সঠিক ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করলে মেকআপও জায়গাচ্যূত হবে না।
সানস্ক্রিন: ময়েশ্চারাইজ়ারে অতিবেগনি রশ্মি প্রতিরোধ করার ক্ষমতা থাকলেও আলাদা করে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
আরও পড়ুন:
২. এ বার মেকআপের ধাপগুলির জন্য একের পর এক সামগ্রীর খোঁজ দেওয়া হল:
ফ্ললেস ফিল্টার: ফাউন্ডেশন এবং হাইলাইটার, একই সঙ্গে দু’টি সামগ্রীর কাজ করবে এমন একটি পণ্য ব্যবহার করতে হবে। তা ছাড়া মেকআপের নীচে প্রাইমার হিসেবেও উপযুক্ত এটি।
টিন্টেড ময়েশ্চারাইজ়ার: ত্বকচর্চা আর মেকআপের লক্ষ্যপূরণ যদি এক পণ্যেই হয়ে যায়, তা হলে তো আর কথাই নেই! পিয়োর রেডিয়েন্ট টিন্টেড ময়েশ্চারাইজ়ার এসপিএফ ৩০ ব্যবহার করা যায়।
এ বার মাখতে হবে ব্লাশ। আর এই ব্লাশের ব্যবহারেই নতুনত্ব আনতে হবে, যা শিশিরের আভার মতো মেকআপ পাওয়ার মূল কৌশল।
রইল তারই কয়েকটি নমুনা—
ওয়াটার ফ্রেশ ব্লাশ: হাইড্রেটিং বেস তৈরির জন্য কার্যকরী। স্বচ্ছ, চকচকে, হালকা ফিনিশ এনে দিতে এই পণ্যটিই উপযুক্ত।
সফট পিঞ্চ লুমিনস ব্লাশ: এই ব্লাশ মেকআপে উজ্জ্বল ফিনিশ এনে দেয়। ত্বকের সঙ্গে অনায়াসে মিশে যেতে পারে। ঝলমলে অথচ মার্জিত আভা এনে দেবে।
মাল্টি-স্টিক: ক্রিমি টেক্সচার থাকে এই স্টিকে। মেকআপের উপর মসৃণ এবং সমান ভাবে লেগে থাকে। রোজ়শিপ, অ্যাভোকাডো এবং সজনে তেলের মতো পুষ্টিকর উপাদানে সমৃদ্ধ। সব রকম রঙের ত্বকের জন্যই উপযুক্ত।
ব্লাশকে আরও উজ্জ্বল ও টেকসই করতে সঙ্গী হিসেবে ব্যবহার করা যায় হাইলাইটার—
হাইলাইট স্টিক: এই হাইলাইটার মাখলে মনে হবে যেন ত্বক পর্যাপ্ত পরিমাণে হাইড্রেটেড হয়ে রয়েছে। এই জেল হাইলাইটার স্বচ্ছ কাচের মতো ফিনিশ এনে দেবে।
বিউটি লাইট ওয়ান্ড: এই লিকুইড হাইলাইটার গালে এনে দেয় চকচকে আভা। ক্রিম ব্লাশের উপর নির্বিঘ্নে মিশে যায়।
এ বার মেকআপ সেটিং মিস্টের পালা—
হাইড্রো গ্রিপ সেট, রিফ্রেশ স্প্রে: ত্বকচর্চার জন্যেও এই মিস্ট খুব কার্যকরী। মেকআপ সেটিং স্প্রেটি আপনার ত্বকে নীল অ্যাগেভের নির্যাস এবং নিয়াসিনামাইডের মতো উপাদানগুলি সমান ভাবে মিশিয়ে দেয়।। প্যাচপেচে গরমের দিনেও আপনার ব্লাশকে বিবর্ণ হতে দেয় না।