—প্রতীকী চিত্র।
গরম, বর্ষা বা শীত— যে মরসুমই হোক না কেন, চুল ঝরেই চলেছে। ঘরোয়া টোটকা থেকে নামীদামি প্রসাধনী, কোনও কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। কিছু দিন আগে পর্যন্ত চুলের যা ঘনত্ব ছিল, এখন তার অর্ধেকও নেই। এমন আক্ষেপ অনেকেরই। আসলে চুল ঝরে পড়া নিয়ে সকলে যত চিন্তা করেন, তার অন্তর্নিহিত কারণ নিয়ে ততটাও করেন না। চিকিৎসকদের মতে, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ছাড়াও চুল পড়ার কিন্তু হাজার কারণ থাকতে পারে। তার মধ্যে বংশগত প্রবণতা অন্যতম। জিনের কারণে সাধারণত কৈশোরকাল থেকেই চুল পড়া শুরু হয়। অনেকেই বলেন, গাছের পাতা ঝরে পড়ার মতোই চুল পড়ে যাওয়াও স্বাভাবিক একটি চক্র। চিকিৎসকেরা বলেন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রতি দিন ৫০ থেকে ১০০টা চুল ঝরে পড়া স্বাভাবিক। তবে তা ব্যক্তিবিশেষে কম-বেশি হতে পারে। কিন্তু কার জন্য ঠিক কী পরিমাণ চুল পড়া স্বাভাবিক, তা বুঝবেন কী করে?
১) মাথার ত্বক
চুল ভেজানোর পর মাথার ত্বকের অবস্থা লক্ষ করুন। ভেজা চুল খুব একটা ফুলে-ফেঁপে থাকে না। যদি দেখেন চুলের ফাঁক দিয়ে মাথার ত্বক একেবারে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, তা হলে ধরে নিতে হবে যে পরিমাণ চুল পড়ছে, সেই অনুযায়ী তা গজাচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
২) বয়স এবং লিঙ্গ
বয়স এবং লিঙ্গের উপরেও চুল ঝরে পড়ার পরিমাণ নির্ভর করে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পুরুষ এবং মহিলাদের মাথার বিশেষ কিছু অংশ ফাঁকা হয়ে যেতে দেখা যায়। এমন সমস্যা নজরে পড়লেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
৩) জীবনধারা
চুল ঝরে পড়ার আরও একটি কারণ হল অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। রাত জাগা, তেল-ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার খাওয়ার অভ্যাস চুল পড়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়াও যদি কারও মানসিক চাপের পরিমাণ বেড়ে যায়, তা হলেও কিন্তু চুল পড়তে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy