যত দিন যাচ্ছে, সৌন্দর্যবৃদ্ধির তত নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার হচ্ছে। কোনওটিতে ত্বকের রং উজ্জ্বল হচ্ছে, তো কোনওটি রুখে দিচ্ছে বার্ধক্য। আবার কোনও চিকিৎসা পদ্ধতি মুখ থেকে টেনে তুলে দিচ্ছে ত্বকের একটি স্তর। যাতে ত্বক আবার নতুনের মতো ঝকঝকে তকতকে হয়ে যায়। তেমনই এক চিকিৎসা পদ্ধতির নাম কেমিক্যাল পিল। যা করাতে গিয়ে ত্বক পুড়িয়ে ফেললেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার ফেসিয়ালিস্ট। তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছেন ভিক্টোরিয়া নেলসন নামের এক মহিলা।
প্রিয়ঙ্কার ওই ফেসিয়ালিস্টের নাম সনিয়া ডেকার। ক্যালিফোর্নিয়ার যে বেভারলি হিলস হলিউড তারকাদের ‘ঘাঁটি’ বলে পরিচিত (কারণ বহু বড় মাপের হলিউড তারকারই বাস ওই এলাকায়), সেখানেই তাঁর ক্লিনিক। তিনি নিজে একজন পেশাদার ‘এস্থেটিসিয়ান’। অর্থাৎ, যাঁরা মুখের সৌন্দর্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত নানা চিকিৎসা পদ্ধতি জানেন।
প্রিয়ঙ্কা তো বটেই, হলিউডের তাবড় তারকারা নিজেদের ত্বকের পরিচর্যার জন্য সনিয়ার উপর ভরসা করেন। ম্যাডোনা থেকে শুরু করে ক্যামেরন ডিয়াজ়, গিনেথ প্যালট্রো, ড্রিউ ব্যারিমোর তাঁর ‘ক্লায়েন্ট’। সেই তারকা ফেসিয়ালিস্টের বিরুদ্ধেই গুরুতর অভিযোগ এনেছেন ভিক্টোরিয়া।
টিক টকে নিজের মুখের এই ছবি দু’টি শেয়ার করেছেন অভিযোগকারিনী ভিক্টোরিয়া নেলসন। ছবি: সংগৃহীত।
সমাজমাধ্যমে সেই অভিযোগের প্রমাণস্বরূপ ছবিও দিয়েছেন অভিযোগকারিনী। সেই ছবির একটিতে তাঁর মুখ জুড়ে দেখা যাচ্ছে বাদামি রঙের পোড়া দাগ। অন্য ছবিটি সেই পোড়া চামড়া ওঠার পরে তোলা। তাতে দেখা যাচ্ছে, পুড়ে যাওয়া অংশগুলি সাদা হয়ে গিয়েছে।
ভিক্টোরিয়া জানিয়েছেন, সনিয়ার খ্যাতি শুনেই তাঁর কাছে নিজের ত্বকের পরিচর্যার জন্য যেতে শুরু করেছিলেন তিনি। তাঁর মূল সমস্যা ছিল ব্রণ। দু’গাল ভর্তি ব্রণ বেরোত তাঁর। ভিক্টোরিয়া বলছেন, ‘‘সনিয়া আমার ব্রণ কমিয়ে দিয়েছিলেন। তাই তার পর থেকে প্রায়ই ওঁর কাছে ফেসিয়াল করাতে যেতাম। এক দিন তিনি বললেন কেমিক্যাল পিল করাতে। ভরসা করে আমিও রাজি হয়ে গেলাম। আর তাতেই সর্বনাশ হল আমার।’’
ভিক্টোরিয়া তাঁর অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলছেন, ‘‘সনিয়া আমার মুখে একটা তরল পদার্থ লাগিয়েছিলেন। আর সেটা লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে আমার ত্বক জ্বলতে শুরু করে। মনে হচ্ছিল, আগুনে আমার ত্বক পুড়ছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে ওঁকে জানাই সেটা। কিন্তু তত ক্ষণ যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। আমার ত্বক পুড়ে গিয়েছে।’’
আরও পড়ুন:
এই ঘটনাটি ঘটার পরে প্রায় ৩০ হাজার ডলার ব্যয় করে মাইক্রোনিডলিং করাতে হয় ভিক্টোরিয়ার ত্বকে। তার পরে এক ত্বকের চিকিৎসকের কাছে তিনি ৮০০০ মার্কিন ডলার ব্যয় করে আরও একটি চিকিৎসা করান। তার পরেও সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি। ভিক্টোরিয়া বলছেন, ‘‘এখনও আমার ত্বকে একটু খেয়াল করলেই সেই পোড়া দাগ দেখা যায়।’’ ভিক্টোরিয়া জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার পরেও কোনও লাভ হয়নি। তারকাদের কাছের মানুষ হওয়ার দরুন বা অন্য কোনও কারণে পার পেয়ে গিয়েছেন সনিয়া।