ইচ্ছা অনেক হয়, কিন্তু তা সব সময়ে সাধ্যের মধ্যে থাকে না। বিশেষ করে শিল্প এমন একটি ক্ষেত্র, যেখানে বাসনা আর ক্ষমতার মধ্যের দূরত্ব বার বার আলোচিত হয়ে এসেছে। শুধু এখন নয়, যুগ যুগ ধরে।
সিমা গ্যালারি সে দূরত্ব ঘোচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বছর বছর ধরে। এ দূরত্ব নানা প্রকারের। এক, শিল্পের সঙ্গে শিল্পপ্রেমী মনের। আর এক হল, শিল্পীর সঙ্গে শিল্পবোধের। তারই জন্য আয়োজিত হয় ‘আর্ট মেলা’। এ বছরও হচ্ছে।
সাধ্যের মধ্যে শিল্পের সম্ভার। ছবি: অমিত দত্ত।
সারা বছর নানা গ্যালারিতে চলে বহু খ্যাতনামী শিল্পীর প্রদর্শনী। কিন্তু অনেক সময়ে তা দেখতে পেলেও সংগ্রহ করার মতো উপায় থাকে না। শিল্প যেমন অমূল্য, তেমন এ কথাও ঠিক যে শিল্পের মূল্য সকলের সাধ্যের মধ্যে থাকে না। কিন্তু তার মানেই কি শিল্পীর কাজ আর কারও নাগালের মধ্যে থাকবে না? সেই দূরত্ব ঘুচিয়ে বহু শিল্পীর কাজ এক জায়গায় করে সিমা গ্যালারি। শিল্পপ্রেমী সকলে যেন পারেন শিল্প সংগ্রহ করতে, তার জন্য মূল্য রাখা হয় সাধ্যের মধ্যে।
আবার এমন বহু শিল্পী আছেন, যাঁদের কাজ হয়তো সারা বছর ঠিক শহুরে গ্যালারিতে থাকে না। তেমন শিল্পীদের কাজও খুঁজে আনে সিমা গ্যালারি। গ্যালারির অধিকর্তা রাখী সরকার যেমন বলেন, ‘‘এমন শিল্পীর কাজও আমরা রাখি, যাঁরা সারা বছর হয়তো নিজের গ্রামের বাড়িতে বসে কাজ করেন। শহরে কেউ হয়তো তাঁদের কাজ দেখতেই পান না। এই সময়টা আমরা চেষ্টা করি তেমন বহু শিল্পীর সঙ্গে শহরের শিল্পপ্রেমীদের আলাপ ঘটানোর।’’ আবার বহু খ্যাতনামী শিল্পীর কাজও রাখা হয় এই মেলায়। এ বার যেমন গণেশ পাইন থেকে পরেশ মাইতির মতো অতি পরিচিত শিল্পীর কাজও রাখা হয়েছে। অধিকর্তা জানান, এই মেলার জন্য বহু প্রতিষ্ঠিত শিল্পীই তুলনায় কম দামে নিজেদের কাজ দেন, যাতে সকলের আয়ত্তের মধ্যে থাকে শিল্প।
শুরু হতে চলল ‘আর্ট মেলা’। ছবি: অমিত দত্ত।
এ বছর যেমন বহু শিল্পীর ক্যানভাস আছে, তেমন আছে ভাস্কর্য। আছে পটচিত্র, মধুবনী চিত্রও। ১০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩,৫০,০০০ টাকা মূল্যের বিবিধ শিল্প রাখা হয়েছে এই মেলায়।
শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর থেকে শুরু মেলা। চলবে রবিবার, ৩০ তারিখ পর্যন্ত। বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে যে কোনও সময়ে গেলেই হল।