Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
medicines

হঠাৎই মোটা হয়ে যাচ্ছেন? রাশ টানুন অসুখের সময় এই অভ্যাসের দিকে

ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিক খেলে শরীরে বাড়তে পারে মেদের পরিমাণ

ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিক খেলে শরীরে বাড়তে পারে মেদের পরিমাণ

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৯ ১৩:৩৬
Share: Save:

সাধারণ জ্বর থেকে শুরু করে সর্দি কাশি বা পেটের সমস্যা, অ্যান্টিবায়োটিকের শরণ নিতে কখনওসখনও বাধ্য হই আমরা। ঠিক নিয়ম মেনে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ায় ভয়ের কিছু দেখছেন না চিকিৎসকরা। তবে চিন্তায় ফেলছে এই নিয়মের বাইরে গিয়ে খাওয়ার বিষয়টাই।

কেমন তা?

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামীর মতে, ‘‘চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মুঠো মুঠো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া আমাদের একটা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। পেটের গোলমাল হোক বা দিন কয়েকের জ্বর, ওষুধ তো জানাই আছে! নিজের জানা একটা অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স করলেই ঝামেলা মিটে গেল বলে ধরে নিই আমরা! এই অকারণ ও অত্যধিক অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে শরীরে বেড়ে চলেছে মেদ। তার সঙ্গে শরীরে সুপারবাগসের উপস্থিতি মুশকিলে ফেলছে রোগী ও চিকিৎসককে। অনেক সময় তো কোর্সও সেষ করেন না অনেকে। জানাশোনা অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগে রোগ একটু ভাল হলেই, ব্যস! ওষুধ খাওয়া বন্ধ! এই সব স্বভাবই ডেকে আনছে আগামী দিনের গুরুতর বিপদ।’’

সুপারবাগস কী?

অবৈজ্ঞানিক উপায়ে ও ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারে শরীর সেই অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করতে পারে। তাই দিনের পর দিন নির্দিষ্ট অসুখে সেই ওষুধ নেওয়ার ফলে একটা সময়ের পর তা আর শরীরে কাজ করে না। শরীরের ব্যাকটিরিয়া তখন সেই নির্দিষ্ট ওষুধের সঙ্গে লড়ার ক্ষমতা অর্জন করে ফেলে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। অতিরিক্ত ক্ষমতাসম্পন্ন সেই জীবাণুরাই ‘সুপারবাগস’।

আরও পড়ুন: পলিসিস্টিক ওভারির শিকার অনেকেই, কী ভাবে সামলাবেন, উপসর্গই বা কী?

চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই গ্রহণ করুন অ্যান্টিবায়োটিক

ফ্যাটও ডাকে অ্যান্টিবায়োটিক

ঘ্রেলিন হরমোনের উপর নির্ভর করে শরীরে মেদের বৃদ্ধি। খিদেকেও নিয়ন্ত্রণ করে তা। ভাল কিছু ব্যাকটিরিয়ার উপস্থিতিতে এই হরমোন আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু অবৈজ্ঞানিক উপায়ে ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিক খেলে এই সব জীবাণু সহজেই ধ্বংস হয় আর ঘ্রেলিনের কার্যকারিতাও কমে। ফলে মেদ বৃদ্ধি পায়, ঘন ঘন খিদে পায়। অনেকটা খেলেও অনেক সময় খিদে মেটে না।

আবার উপকারী ব্যাকটিরিয়ার ধ্বংসের কারণে শরীরে সহজেই জল জমে। থাইরয়েড হরমোন নিঃসৃত হতে পারে না, পাকস্থলীতে ইস্ট সংক্রমণও হয়। ফলে হজমের সমস্যাও দেখা যায়। এর ফলে পেটের চর্বিও বাড়ে।

আরও পড়ুন: লিপস্টিক ছাড়া ঠোঁটের নুডিটিতেই বাজিমাত? যত্ন নিন এ ভাবে

তা হলে কী করণীয়?

চিকিৎসকদের মতে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিক একেবারেই নয়। কখনও কোনও অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স শুরু করলে অবশ্যই তা শেষ করুন, রোগ একটু ভাল হল মানেই নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে কোর্স শেষ করে দেবেন না। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা হওয়াটা এ ক্ষেত্রে খুবই জরুরি। অ্যান্টিবায়োটিক চললে প্রচুর জল খান। সঙ্গে সুষম আহার খান, এড়িয়ে চলুন তেল-মশলা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE